কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে ১ সপ্তাহে বন্যার পানিতে ৭ শিশুর মৃত্যু

বন্যার পানিতে খেলার সময় শিশুদের ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে গত এক সপ্তাহে বন্যার পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ শিশু লালমনিরহাটের ও ২ শিশু কুড়িগ্রামের।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের তেঁতুলতল গ্রামের বাবুল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে আমার একমাত্র ছেলে আব্দুস সালাম (৭) পানিতে ডুবে মারা যায়। সে বাড়ির উঠানে একা খেলার সময় বসতভিটার পাশে বন্যার পানিতে পড়ে যায়।'

পরে তার মরদেহ বন্যার পানি থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ব্রহ্মত্তর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলার সময় আমার দ্বিতীয় সন্তান সায়েম ইসলাম বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।'

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের উজির আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সকালে ৫ বছরের মেয়ে আফরোজা খাতুন গ্রামের অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় বন্যার পানিতে ডুবে যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।'

এ ছাড়া, গত এক সপ্তাহে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে ২ শিশু, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টানভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রামে এক শিশু ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বন্যাপ্রবণ এলাকার লোকজনকে তাদের সন্তানদের নিরাপদে রাখতে এবং খেলার সময় তাদের প্রতি নজরদারি রাখার জন্য অনুরোধ করছি।'

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যার পানিতে শিশুদের ডুবে যাওয়া গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago