চাঁদপুর রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত ঘরে আগুন

চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনের (বড় স্টেশন) একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘরটিতে রাখা বেশ কিছু ককসিট পুড়ে গেছে। 
সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনের (বড় স্টেশন) একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘরটিতে রাখা বেশ কিছু ককসিট পুড়ে গেছে। 

আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস।

এর ফলে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে শহরের রেলস্টেশন, স্টিমার ঘাট ও মাছ ঘাট।

মাছ ঘাটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় আলী হোসেন গাজী রেলওয়ের বিশাল ওই পরিত্যক্ত ঘরটি অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ মাছ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত ককসিটের গোডাউন বানিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

স্থানীয়দের দাবি, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় এই গোডাউনের পাশেই সিলিন্ডার গ্যাস ও জ্বালানি তেলের বড় একটি দোকান রক্ষা পেয়েছে। এ ছাড়াও, ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে রেলস্টেশন, স্টিমার ঘাট ও মাছ ঘাট।

ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে আলী হোসেন গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই গোডাউন আমার নয়। এখানে অনেকেই ককসিট রাখেন। আমারও কিছু ককসিট ছিল। তবে এ ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।'

তার দাবি, ইচ্ছে করেই হয়তো সেখানে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এখন ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমাদের মাছ ঘাটের পূর্ব পাশে স্টিমার ঘাট সংলগ্ন রেলের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লেগেছে। তবে স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ কারণে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।'

চাঁদপুর রেলস্টেশন মাস্টার শোহেবুল শিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ওই পরিত্যক্ত ঘরে কেউ থাকেন না। তবে সেখানে মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ককসিট রাখতেন। তবে পুড়ে যাওয়া ককসিটগুলো কার বা কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমার জানা নেই।'

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই স্থানীয়রা ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে মাছ ঘাট, স্টিমার ঘাট ও রেলস্টেশন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'

Comments