সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড

নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা, আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুন নির্বাপণের কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। পানির সংকটে অগ্নি নির্বাপণ কাজ ব্যাহত হওয়ায় এবং আগুন থেকে বিস্ফোরণের পর দুর্ঘটনা এড়াতে তারা নিরাপদে সরে যান।
ভোরের দিকে ডিপোর কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুন নির্বাপণের কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। পানির সংকটে অগ্নি নির্বাপণ কাজ ব্যাহত হওয়ায় এবং আগুন থেকে বিস্ফোরণের পর দুর্ঘটনা এড়াতে তারা নিরাপদে সরে যান।

রোববার ভোর ৪টার দিকে পানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অগ্নি নির্বাপণ কাজ ব্যাহত হয়।

ডিপোর ভেতরে আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকায় এক পর্যায়ে তারা নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বাধ্য হন।

বিস্ফোরণ থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপদে সরে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ছবি: মোহাম্মদ সুমন/স্টার

তবে ভোর ৬টার দিকে ডিপোর বেশিরভাগ জায়গার আগুন নিভে এলেও, কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

তবে এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মীকে আগুন নেভানোর কাজ করতে দেখা যায়।

ডিপোর বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।এর আগে

শনিবার রাত ৯টার দিকে কনটেইনার ডিপোটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে চট্টগ্রাম ও ফেনী ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৪টি ইউনিট কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

ডিপোর ভেতরে আটকে থাকা ট্রাকগুলো একে একে ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপের ওপর দিয়ে যেতে থাকে। এতে বেশ কয়েকটি পাইপ ফেটে যায়। এতে প্রচুর পানির অপচয় হয়।

এর পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পানি নিয়ে সংকটে পড়তে হয়।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন এবং শতাধিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Comments