দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড

বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন, ৩৫ মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

দমকল বাহিনীর বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়ার বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের বরিশাল সংবাদদাতা বলেন, দমকল বাহিনীর সদস্যরা দগ্ধ অবস্থায় ২৯ মরদেহ ও ভাসমান অবস্থায় ৬ মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ছাড়া, স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থায় আরও ২ মরদেহ উদ্ধার করেন।

ছবি: টিটু দাস/স্টার

দমকল বাহিনীর হিসেবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭২ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধা নদীর গাবখান চ্যানেলে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠী দমকল বাহিনীর স্টেশন মাস্টার শহীদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লঞ্চের ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।'

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী রেজওয়ান চৌধুরী সাকিব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় অন্তত ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগ দগ্ধ।'

ছবি: টিটু দাস/স্টার

দমকল বাহিনীর বরাত দিয়ে ডেইলি স্টারের বরিশাল সংবাদদাতা বলেন, ভোররাত ৩টা ২৮ মিনিটের দিকে সংবাদ পেয়ে বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর থেকে ৬০ সদস্য ঘটনাস্থলে যায়।

দমকল বাহিনীর সূত্র জানায়, ভোররাত ৩টা ২৮ মিনিটের দিকে সংবাদ পেয়ে বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর থেকে ৬০ সদস্য ঘটনাস্থলে যায়।

দমকল বাহিনীর ডিউটি অফিসার লিমা খানম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দমকল বাহিনীর সদস্যরা ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজে ১৫ ইউনিট যোগ দেয়। ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।'

যাত্রীদের অনেকেই দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ থেকে তীব্র শীতের মধ্যে নদীতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সাঁতরে নদীতীরে উঠতে পারা যাত্রীদের আশঙ্কা হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে।

ছবি: টিটু দাস/স্টার

লঞ্চযাত্রী ইতালিফেরত সাইদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলাম। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছলে ভোররাত অনুমান ৩টার দিকে হঠাৎ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লেগে যায় এবং তা পর্যায়ক্রমে পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।'

ছবি: সংগৃহীত

যাত্রীদের অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে লঞ্চে শিশু, বয়স্ক ও নারীসহ কমপক্ষে ৫০০ যাত্রী ছিল বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'পোড়া গন্ধ পেয়ে আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী, শ্যালককে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

The crawling peg system for the taka is a delayed response to reserve erosion

2h ago