সাভারে সড়ক দুর্ঘটনা: নিয়ন্ত্রণহারা বাসটির মালিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ

ঢাকার অদূরে সাভারের বালিয়ারপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণহারা যে বাসটির ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই বাসটির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার অদূরে সাভারের বালিয়ারপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণহারা যে বাসটির ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই বাসটির মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গোলাম মোস্তফা জানান, বাসটির রেজিষ্ট্রেশন ছিল এক্সিম ব্যাংকের নামে। এক্সিম ব্যাংক থেকে পাওয়া প্রত্যায়নপত্র সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি জনৈক টিপু সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে বাসটি কেনার জন্য ঋণ দিয়েছিল। ওই ব্যক্তি টিআর ট্রেডিং হাউস নামের এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বাসটি কেনেন।

গোলাম মোস্তফা বলেন, 'যেহেতেু বাসটির কাগজপত্রের মেয়াদ ছিল না, সেহেতু বাসটির মালিকের নাম এমনিতেই মামলায় অন্তর্ভূক্ত হবে।'

হাইওয়ে পুলিশের এই উপপরিদর্শক আরও বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম যে, বাসটি সেইফ লাইন পরিবহনের। পরবর্তীতে জানা যায় দুর্ঘটনার দিন বাসটি নিউ গ্রীন এক্সপ্রেসের ব্যানারে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। এক্ষেত্রে নিউ গ্রীন এক্সপ্রেস কতৃপক্ষকেও বাসটি তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে চালানোর জন্য দায় বহন করতে হবে। তাদের নামও মামলায় চলে আসবে।'

গত রোববার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একটি স্টাফ বাস। নিয়ন্ত্রণহারা ওই বাসটি স্টাফ বাসটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এতে ২ জন বিজ্ঞানী, ১ জন প্রকৌশলী ও দুই বাসের চালকই নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০ জন। সর্বশেষ গত বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফারহানা ইসলাম নিপা নামের আরেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

ঘটনার দিন রাতে অজ্ঞাত চালককে আসামি করে সাভার হাইওয়ে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

Comments