৪০ ঘণ্টায় সন্ধান মেলেনি চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ শিশুর

চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার পর ৪০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ১২ বছর বয়সী শিশু কামালের খোঁজ এখনো মেলেনি। আজ বুধবার সকাল ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ উপজেলার ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রাস্তার পাশে খেলতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল।

মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সংস্থাটির ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চললেও কামালকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ড্রেনে পলিথিন ও আবর্জনার পুরু স্তর পড়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।'

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরে কামাল ও রাকিব নামে ২ শিশু ওই এলাকায় খেলছিল। তাদের পরিবার পাশের বস্তিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা দুজনেই রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে যায়। একজন শেষ পর্যন্ত ড্রেন থেকে উঠে আসতে পারলেও কামাল সেখান থেকে বের হতে পারেনি।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বিকেলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সংস্থার ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

কামালের সঙ্গে ড্রেনে পড়ে যাওয়া রাকিব জানায়, তারা দুজন সেখানে খেলছিল। সে সময় ড্রেন থেকে কিছু একটা তোলার চেষ্টা করলে দুজনেই সেখানে পড়ে যায়।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদে বাদামতলী এলাকায় রাস্তার পাশে খোলা ড্রেনে পড়ে নিহত হন সেহরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯)। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ ছাড়া ২৫ আগস্ট জলাবদ্ধতার সময় চশমাখালের মুরাদপুর এলাকায় তলিয়ে গিয়েছিলেন সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ (৫০)। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার আগে গত ৩০ জুন একই খালে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পড়ে গেলে চালকসহ ২ জন মারা যান।

Comments

The Daily Star  | English

Jamaat rally commences at Suhrawardy Udyan

Supporters continued to arrive at the venue in processions, chanting slogans and carrying banners in support of the demands

1h ago