নাইমের নামে পদচারী সেতু নির্মাণ করা হবে: তাপস
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নটরডেম কলেজে শিক্ষার্থী নাইমের নামে পদচারী সেতু নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, এখানে আগে থেকেই পথচারী পারাপারে আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু এই পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা বিভিন্ন দখলের কারণে অকার্যকর হয়ে আছে। যার কারণে সাধারণ মানুষ নিচে নেমে পার না হয়ে সড়কের ওপর দিয়ে পার হতে বাধ্য হন। সুতরাং আমাদের নতুনভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে। আমরা আন্ডারপাস কার্যকর করবো। যদি দিন যাবে মানুষের চলাচল তত বাড়বে। আমার মতে আন্ডার যথেষ্ট না, যে কারণে পদচারী সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপর দিয়ে পথচারী পারপারে সেতু নির্মাণ করা যায় কি না সেটা বিশ্লেষণ করতে পরিদর্শন করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানে পথচারী পারপার সেতু নির্মাণ করা হবে। সেটা নাইমের নামে উৎসর্গ করা হবে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তাপস বলেন, পুরো চত্বর নিয়ে একটি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিশ্চিত করতে হবে। অতীতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটাকে কার্যকর করা যায়নি। এখানে কয়েকমুখী যাতায়াত ব্যবস্থা। তাই প্রতিটি পথের যাতায়াতকে পরিকল্পনার মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে। আমরা সেটাই এখন গ্রহণ করবো। সুদূর প্রসারী চিন্তা করতে হলে একটা কিছু করে ফেললেই সেটা কাজে দেবে না। আমরা চাই কার্যকর পরিস্থিতি। কারণ যত দিন যাবে এই জায়গায় যান চলাচল বাড়বে। তাই আগামী ১৫ বছর মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
যে কোনো বড় শহরের একটি বড় সমস্যা হাঁটার পথ-রাস্তা এগুলো দখল। এটার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিতে হবে। হকারদের এক দিক থেকে তুলে দিলে নতুন করে অন্য জায়গা নিয়ে নেয়। তাদের পুনর্বাসন চিন্তা করতে হয়, তাকে একটা জায়গা দিতে হবে যেন সে উপার্জন করতে পারে। এগুলো নিয়ে আমরা আলাপ করছি এবং আশা করছি আগামী বছর থেকে এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখবো, ভাববো এবং বিশেষজ্ঞ মহল ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে কিছু কিছু রাস্তাকে চিহ্নিত করে (লাল, হলুদ, সবুজ) পুনর্বাসনের মাধ্যমে হাঁটার পথ-রাস্তা পুনরুদ্ধার করবো—বলেন তাপস।
সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে যখন লক্ষ করি আমাদের পর্যাপ্ত গাড়িচালক নেই তখন নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা ৫০ জন ভারী গাড়িচালক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। ৩২ জনের চূড়ান্ত তালিকা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু বিআরটিএ থেকে যথা সময়ে লাইসেন্স না দেওয়ার কারণে মাত্র ১৯ জনকে নিয়োগ দিতে পেরেছি। কাঠামোতে ১৮৩টি পদ আছে কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের পর্যাপ্ত গাড়িচালক নেই। কিন্তু যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমাদের নিয়মিত গাড়িচালককেই দায়িত্ব দেওয়ার ছিল। সে দায়িত্ব অবহেলা করে-গাফিলতি করে আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছে। যা অত্যন্ত জঘন্যতম অন্যায় হয়েছে। এর মধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আরেকজনকে শনাক্ত করেছি যে দায়িত্ব অবহেলা করেছে, তাকেও আমরা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি। এই বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবো।
Comments