নিউমার্কেট এলাকা ‘রণক্ষেত্র’: সাংবাদিকসহ আহত ৫০
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সকাল থেকে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
এদিন সকাল ১১টা থেকে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নেয়। সকাল থেকেই ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
সকাল ১০টার দিকে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ৪-৫টি টায়ার জ্বালায়। এতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে অন্তত ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ব্যবসায়ীরা নিউমার্কেট এলাকায় একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো ছ ৭১-২২৫২) ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া, রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচ ভেঙে ফেলেন।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৫ জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ সুমিত, ক্যামেরা পারসন ইমরান লিপু, এস এ টিভির ক্যামেরা পারসন মো. কবির হোসেন, বাংলা টিবিউনের রিপোর্টার সাহেদ শফিক, মানবজমিনের রিপোর্টার শুভ্র দেব।
সুমিত বলেন, আমরা গাউছিয়ার মোড়ে ছিলাম, লাইভ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ব্যবসায়ীরা আমাদের ক্যামেরা পারসনকে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে গেলে ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা লোহার অ্যাঙ্গেল ও লাঠি দিয়ে মারতে মারতে নীলক্ষেত মোড়ে নিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এছাড়া সংঘর্ষে অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
সকাল থেকে পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা না গেলেও দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ জলকামান নিয়ে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়।
Comments