‘রাতে ভোট চাই না’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের মতবিনিময় সভায় হট্টগোল হয়েছে। সভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর হট্টগোল করেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী।
সিইসি প্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা, অভিযোগ ও পালটা অভিযোগ শোনেন। নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, 'ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা আছে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো রাতের বেলায় ভোট চাই না।'
এই কথা বলার পর নিজাম উদ্দিনকে বক্তব্য দিতে বাধা দেন আওয়ামী লীগ দলীয় কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী। নিজাম উদ্দিনের পক্ষে দাড়িয়ে কিছু সংখ্যক লোক পাল্টা তর্কে লিপ্তে হলে দুই পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
নিজাম উদ্দিন বক্তব্য দেওয়ার সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী জমির উদ্দিন খান জম্পি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার মাহমুদ জাভেদসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী হইচই শুরু করেন।
পরে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকন দলের নেতাদের শান্ত হতে বলেন। তিনি নিজাম উদ্দিনের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসক বলেন, আগের নির্বাচনে কী হয়েছিল, সেটি নিয়ে বলবেন না। আগামী নির্বাচনে কী হবে তা-ও আমরা জানি না। শুধুমাত্র এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।'
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর নিজাম উদ্দিনকে আবার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি সিইসির কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, 'নির্বাচনের সময় যেন পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। আগামী ১ জুন থেকে দুজন নির্বাচন কমিশনার কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ এলাকায় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।'
নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আস্থা আছে বলেই দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।'
Comments