লক্ষাধিক ভোটে পাস করবো, মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না : তৈমূর

লক্ষাধিক ভোটে জেতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, 'মরে গেলেও মাঠ ছাড়বো না'।
আজ শনিবার ভোটের আগের দিন সকালে শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তৈমূর।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে তার নেতা-কর্মীদের ধর-পাকড়ের অভিযোগ পুনর্ব্যাক্ত করেন এই মেয়র প্রার্থী। বলেন, 'প্রশাসনকে বলবো জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব। বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি। এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যেমনই হোক আমরা মাঠে থাকব। গ্রেপ্তার হলে হবো। কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব।'
ভোটের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের ভাষ্য, 'প্রচার না, আমি সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে আমি কি বলবো না? আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দেবেন আর আমি কথা বলতে পারবো না, সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয় ভোটাররা তত ঐক্যবদ্ধ হয়।'
তৈমূরের পক্ষে কাজ করা মহানগর শ্রমিক দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে তৈমূর বলেন, 'আজকে আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছেন। তারা স্বামী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার বাড়িতে রাত ২টা পর্যন্ত ছিলেন। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা এবং তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছে।'
তৈমূর আরও বলেন, 'এখানে (সংবাদ সম্মেলনে) অনেক লোক আছেন, যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। এদের মধ্যে এমন কোন লোক নেই যাদের বাড়িতে ২ থেকে ৩ বার লোক যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি আমাদের ওপর এত অত্যাচার করছেন কেন? প্রশাসনের এহেন কাজে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
'মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপনও কাল এখানে ছিল। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এটাই কি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া?' প্রশ্ন রাখেন তৈমূর।
Comments