কান্নাকাটি থামাতে ছেলেকে পদ্মা সেতু দেখাতেই হলো পুলিশ বাবার

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন পুলিশ কনস্টেবল মো. সুমন মাহমুদ। তার ৭ বছরের ছেলে এজাজুল হক কয়েকদিন ধরে পদ্মা সেতু দেখতে চেয়েছিল।
শুক্রবার বিকেলে ছেলেকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যান বাবা সুমন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন পুলিশ কনস্টেবল মো. সুমন মাহমুদ। তার ৭ বছরের ছেলে এজাজুল হক কয়েকদিন ধরে পদ্মা সেতু দেখতে চেয়েছিল।

তবে ব্যস্ততায় সময় করতে পারেননি সুমন। মন খারাপ করে ছেলে এজাজুল আজ শুক্রবার সকাল থেকে কান্নাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে সুমন বিকেলে ছেলেকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যান।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ছেলেকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্য সুমন মাহমুদ। সেখানে মোটরসাইকেলের ওপর ছেলেকে বসিয়ে ছবি তোলেন।

পদ্মা সেতুর সামনে ছেলের ছবি তুলে দিচ্ছেন বাবা। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসায় টেলিভিশনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন ছবি-ভিডিও দেখার পর ছেলে কয়েকদিন ধরেই আমাকে বলছে সেতু দেখানোর জন্য। কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দিলে সে রাগ হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। তাকে শান্ত করতে আজ বিকেলে বাসা থেকে বের হলাম।'

'প্রায় ২৭ কিলোমিটার পথ মোটরসাইকেলে করে সেতু দেখাতে নিয়ে আসি। নিরাপত্তাজনিত কারণে দূর থেকে সেতু দেখেও ছেলে অনেক খুশি,' বলেন তিনি।

সুমন বলেন, 'মাওয়া টোল প্লাজার কাছে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন উপলক্ষ্যে সাজানো হয়েছে। এগুলো দেখে ছেলে খুশি হয়েছে।'

'ছেলেকে নিয়ে পদ্মাসেতুর সামনে সেলফি তুলেছি। বাবা-ছেলের জন্য এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। ফেসবুকে ছবি আপলোড দিব। আগামীকাল উদ্বোধন, কিন্তু কাজের ব্যস্ততার জন্য আসা হবে না,' বলেন তিনি।

শিশু এজাজুল হক হাসিমুখে বলছিল, 'সেতু কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমার বন্ধুদের কাছে আমি বলব, আমি পদ্মা সেতু দেখেছি।'

Comments