পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে।
লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবিটি দুপুর সোয়া ১টায় তোলা। ১৫ জুলাই ২০২১। ছবি: জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস/ স্টার

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা গেছে।

আজ সকাল থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা খুব একটা দেখা যায়নি। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। করোনার ঝুঁকি নিয়ে তারা যাচ্ছেন পরিবারের কাছে।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে যাত্রীদের অনীহা রয়েছে। তারা নিজ থেকে সচেতন না হলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা অসম্ভব।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও অর্ধশত ব্যক্তিগত গাড়ি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ডে দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো পাটুরিয়া প্রান্তে আসার পর ফেরির টিকিটের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এক থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর এসব বাস ফেরিতে উঠছে।

এ ছাড়া ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে লোকাল বাসে করে ঈদে ঘরমুখো অনেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। তারা কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে লঞ্চঘাটে এসে লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া প্রান্তে যাচ্ছেন।

রাজবাড়ির পাংশাগামী যাত্রী আব্দুর রহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সময় যতই বাড়বে ভিড় ততই বাড়বে। তাই একদিন আগেই গ্রামে যাচ্ছি।’

পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাগামী ফরিদপুরের জাহিদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি ঢাকার নিউমার্কেটে জামাকাপড়ের ব্যবসা করি। লকডাউনের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই লকডাউনের মধ্যেই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। লকডাউন শিথিল হয়েছে দোকানপাট খুলেছে। আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।’

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পদ্মার প্রবল স্রোত মোকাবিলা করে বহরের ১৫ ফেরির সবগুলোই চলাচল করছে। পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ফেরি বাড়ানো হতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago