পিরোজপুরে অফিস সহকারীর হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত

পিরোজপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন ওই কলেজেরই অফিস সহকারী। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত ওই অফিস সহকারীর নাম ফরিদা ইয়াসমিন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল অফিস সহকারী ফরিদার কক্ষে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর তিনি জুতা দিয়ে অধ্যক্ষকে আঘাত করেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে বাইরে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই অধ্যক্ষ মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. ফেরদৌস ইসলাম।

তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বাদল।

অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ফরিদা ইয়াসমিন কলেজের কোনো নিয়ম কানুন মানেন না। এমনকি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি ফরিদা। গতকাল সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্যে শিক্ষার্থীরা কলেজে আসে। সে সময় অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানকারী শিক্ষার্থীদের নামগুলো রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করার জন্যে ফরিদাকে বলেছিলাম। তবে, তিনি আমার কথার কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে ফরিদার কক্ষে যাই এবং শিক্ষার্থীদের নাম না তোলার বিষয় জানতে চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনেই ফরিদা জুতা দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করেন। এরপর সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে।'

'এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করব', বলেন অধ্যক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফরিদা ইয়াসমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলেজের অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন, মানসিকভাবে নির্যাতন, অপমান করেছেন। গতকালও আমার সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছিল। পরে আমি তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিলাম। কিন্তু, মারিনি।'

কিন্তু, সিসিটিভির ফুটেজে অধ্যক্ষকে আঘাত করতে দেখা গেছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না, আমি তাকে মারিনি। মারতে উদ্যত হয়েছিলাম।'

কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আশরাফুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাটি জানার পর আমরা তাৎক্ষণিক বৈঠক করেছি। এ ঘটনার তদন্তে কমিটি করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Step up diplomacy as US tariff clock ticks away

Bangladesh must intensify trade diplomacy to protect garment exports from steep US tariffs as the clock runs down on a three-month reprieve, business leaders warned yesterday.

10h ago