বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কে যানবাহনের ধীরগতি

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে আজও কর্মস্থলে ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। মহাসড়কে তাই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে, অতিরিক্ত গাড়ির চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।
এর আগে, সকাল থেকেই মহাসড়কে বাড়তে থাকে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ। বিকেলের দিকে তা আরও বেড়ে যায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান রাত ৯টায় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত গাড়ির প্রচণ্ড চাপ আছে। তবে, ধীরে চললেও কোথাও থেমে নেই।
গাড়ির এই চাপ আরও ২ দিন থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রাস্তায় যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট আছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ব্যস্ততা থাকলেও সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এদিকে গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকা-টাঙ্গাইল চারলেন মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুরো চারলেন মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরের গেট হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি এবং দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গের ৫টিসহ মোট ২৬টি জেলার ১১৬টি রুটের যানবাহন চলাচল করে।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে ১৫ থেকে ২০ হfজার যানবাহন এই মহাসড়কে চলাচল করলেও ঈদের সময় তা ৫০-৬০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে স্বাভাবিক সময়ে দিনে ১২-১৫ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হলেও ঈদের সময় তা বেড়ে ৪০-৫০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। ফলে, প্রতি বছর ঈদের সময় এই মহাসড়কে যানজটে নাকাল হতে হয় যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের।
জানা গেছে, লম্বা ছুটি, রাস্তার ভালো অবস্থা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্ব প্রস্তটি এবং নিজেদের সচেতনতার কারণে এবার তেমন ভোগান্তি ছাড়াই ঈদ করতে বাড়ি যেতে পেরেছে মানুষ।
তবে, প্রয়োজনীয় পরিবহন সংকট এবং অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ যাত্রীরা এবছরও করেছেন।
Comments