বরগুনায় সেতু ধসে খালে, দুর্ভোগে গ্রামবাসী

ছবি: স্টার/সোহরাব হোসেন

বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী ও বড়বগী ইউনিয়নের বড়ভাইজোড়া এলাকার সংযোগ স্থলের ঝাড়াখালী খালের ওপর ২০০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি খালে ধসে পড়েছে।

এতে ওই ২ ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০'র বেশি শিক্ষার্থী। দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণ না করলে শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে হঠাৎ সেতুটি ধসে পড়ে। সেসময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় ৫-৬ জন শিক্ষার্থী। ওই ব্রিজটি পার হয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল তারা।

মঙ্গলবার দুপুরের সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুটি ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। সেতুর দুই পাড়ে টিকা নেওয়ার জন্য পরাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন নারী ও শিশুরা। পারাপারের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ওই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন তারা।

ছবি: স্টার/সোহরাব হোসেন

এসইএসডিপি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় সেতুটি পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে চোখের সামনেই সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।'

কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই এলাকার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সেতুটি। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এখানে দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মান করা প্রয়োজন।'

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লোনা পানিতে লোহার এঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ায় সেতুটি ধসে পড়েছে। এখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য দ্রুত প্রক্কলন তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।'

কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী ও বড়বগী ইউনিয়নের বড়ভাইজোড়া গ্রাম দুটি সংযুক্ত করতে স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে এ সেতুটি নির্মাণ করে। ওই সেতু দিয়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসীর চলাচল করে এবং স্থানীয় এসইএসডিপি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঝাড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করে।

দীর্ঘদিনেও সেতুটি সংস্কার না করায় লোহার এঙ্গেলগুলো লোনা পানিতে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যায়। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণ ও স্কুল শিক্ষর্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। জোয়ারের পানিতে সেতুটি তলিয়ে থাকায় পারাপার করে যারা বিদ্যালয়ে আসত ওই সব শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।

Comments