বরিশালে ১৫ মৃৎশিল্পীকে সম্মাননা

বিভিন্ন ধরনের মৃৎশিল্প নিয়ে কাজ করা ১৫ জন শিল্পীকে তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এসব শিল্পীদের কেউ দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী ও সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেন, আবার কেউ তৈরি করেন তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন উপকরণ।
আজ মঙ্গলবার বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত ১৩তম মৃৎশিল্পী সম্মেলনে তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আজীবন ক্যাটাগরিতে বরিশালের গৈলা গ্রামের জয়দেব পালকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মৃৎশিল্প সম্মাননা ও মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার ডাসার গ্রামের উমা রাণী বিশ্বাসকে শিল্পী চিত্ত হালদার সম্মাননা ও নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, ৫ হাজার টাকা এবং বস্ত্র উপহার দেওয়া হয়।
সম্মেলন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও ১৬ চিত্রশিল্পীকেও পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব ভার্চুয়ালি যোগ দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, 'মৃৎশিল্প আমার দেশের ঐতিহ্য। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে যেমন পরিবেশ বাঁচবে, তেমনি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ বাঁচবে।'
অনুষ্ঠানে বক্তারা মৃৎ উপকরণের আধুনিকতার প্রতি জোর দিয়ে মৃৎশিল্পীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের দাবি তোলেন। এ ছাড়া, মৃৎশিল্পীদের পণ্য বাজারজাত করতে সরকারের সহযোগিতা চান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এবারের আয়োজনে নকশী পিঠার ছাচের প্রদর্শনী করা হয়। প্রদর্শনীতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজশাহী, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও রাজবাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মৃৎশিল্পী অংশ নেন।
আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারসহ অনেকে।
Comments