বাংলাদেশ: ব্র্যাক ও ফজলে হাসান আবেদ
তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান কী করেছেন বা অবদান কী?
এই প্রশ্নের উত্তর এত বিস্তৃত হবে যে, শেষ করা মুশকিল।
বরং প্রশ্নটি যদি এমন হয়, তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান কী করেননি?
উত্তর হবে খুবই সংক্ষিপ্ত এবং এই সংক্ষিপ্ত উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য রীতিমত গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে।
বলছি ব্র্যাক ও ফজলে হাসান আবেদের কথা। ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুর পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের সহায়তা নিলে উপরের প্রশ্ন দুটির উত্তর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
'আবেদ একজন মানুষ, যে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে গেছে। এমন কোনো মানুষ নাই, যার সঙ্গে আবেদ সংযোগ স্থাপন করেননি।' ব্র্যাক ও ফজলে হাসান আবেদ সম্পর্কে ড. ইউনূসের এই বক্তব্যই সম্ভবত সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছর, ব্র্যাকেরও। ব্র্যাক এবং ফজলে হাসান একে অপরের পরিপূরক। ফজলে হাসান আবেদকে বাদ দিয়ে ব্র্যাক বা ব্র্যাককে বাদ দিয়ে ফজলে হাসান আবেদকে নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।
ফজলে হাসান আবেদের জীবিতকালে ব্র্যাক নিয়ে যতটা আলোচনা হয়েছে, মৃত্যুর পর হয়েছে বহুগুণ বেশি। প্রচারে নয়, ফজলে হাসান আবেদ কাজে বিশ্বাসী ছিলেন। আচরণে নম্র, ভদ্র, বিনয়ী এবং মৃদুভাষী মানুষটির দৃঢ়তা ছিল লৌহদণ্ডের ন্যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তার প্রমাণ রেখে গেছেন। ব্যক্তির অবর্তমানে তার গড়া প্রতিষ্ঠান কিভাবে চলবে, আদৌ চলবে কি না, টিকবে কি না, ঘুরে ফিরে এ প্রসঙ্গ বারবার সামনে আসে। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ব্র্যাক।
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর এক অতুলনীয় ভিত্তি দিয়ে গেছেন নিজের গড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে। তার অবর্তমানে তারই নীতি ও আদর্শিক পথে গতিশীল ব্র্যাক। অর্ধ শত বছর বয়সী প্রতিষ্ঠানটির কর্মযজ্ঞের যেন শেষ নেই। নিজের দেশ ছাড়াও আফগানিস্তান থেকে হাইতির গরীব মানুষ তার কর্মযজ্ঞের আওতায়। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্রঋণ থেকে ব্যাংক—সর্বত্রই তার সাফল্য আর দৃঢ়তার ছাপ।
হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর মড়ক ঠেকাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন যন্ত্রের অবর্তমানে পাকা কলার ভেতরে ভ্যাকসিন নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া জামদানি বা নকশীকাঁথা শিল্পের নবজন্ম, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড আড়ং, ওরস্যালাইন, যক্ষ্মা নিরাময়, টিকাদান আরও কত কত ক্ষেত্রে ব্র্যাকের পদচারণ।
উন্নয়ন বলতে তিনি বুঝতেন মূলত মানবসম্পদ উন্নয়ন। একজন গরীব মানুষকে টাকা বা ঋণ দিয়ে সহায়তা করলে, তা তার কাজে নাও লাগতে পারে। কিন্তু যদি টাকার সঙ্গে সেই মানুষকে একটু প্রশিক্ষণ বা কি করতে পারে, কিভাবে করতে পারে সেই দিক নির্দেশনা দেওয়া যায়, তার প্রভূত উপকার হতে পারে। মানুষকে পুনর্বাসন বা ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের সঙ্গে সঙ্গে মানব উন্নয়নকেও সমান বা অধিক গুরুত্ব দিয়েছে ব্র্যাক।
যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে নারী ও গরিব মানুষ।
একটি লেখায় ব্র্যাক ও ফজলে হাসান আবেদের কর্মের সামান্য ছিটেফোঁটার বিবরণ হয়ত তুলে ধারা যায়, পূর্ণাঙ্গ নয়। বই লেখার সুবাদে টানা কয়েক বছর ফজলে হাসান আবেদের সান্নিধ্য পেয়েছিলাম। কিংবদন্তীর সঙ্গে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলে ঘোরা-গল্প-আড্ডা-আলোচনার সুযোগ হয়েছিল। ব্র্যাককে দেখা-জানার সুযোগ হয়েছিল খুব কাছে থেকে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের এই লেখায় তুলনামূলকভাবে কম আলোচিত ব্র্যাকের টিকাদান কর্মসূচির দিকে আলোকপাত করার চেষ্টা করব।
একদিন উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে গাড়িতে ফজলে হাসান আবেদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ব্র্যাকের জন্ম কবে, কীভাবে?
স্বভাবসুলভ মৃদু হেসে যা বললেন তা অনেকটা এমন, ব্র্যাক তৈরি করে কাজ শুরু করিনি। কাজ শুরু করে ব্র্যাক তৈরি করেছি। ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এলাম। ভাঙাচোরা বিধ্বস্ত দেশ। মানুষের কাজ নেই, খাদ্য নেই। এত ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন দেশের মানুষের এমন অবস্থা সহ্য করা যায় না। পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছে, তবে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এরমধ্যে জানলাম, সিলেটের হিন্দু অধ্যুষিত শাল্লা অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শাল্লায় গেলাম। মনে হলো, শহরাঞ্চলে হয়ত অনেকে কাজ করবে। এমন প্রত্যন্ত গ্রামে কেউ আসতে চাইবে না। সিদ্ধান্ত নিলাম শাল্লার মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করে মনে হলো, একটি প্রতিষ্ঠান দরকার। লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করছিলাম 'অ্যাকশন বাংলাদেশ' 'হেল্প বাংলাদেশ'র মাধ্যমে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের পুনর্বাসনের জন্যে গঠন করা প্রতিষ্ঠানর নাম দিলাম 'বাংলাদেশ রিহ্যাবিলেটশন অ্যাসিস্ট্যান্স কমিটি' সংক্ষেপে 'ব্র্যাক'। ব্র্যাকের জন্ম হলো ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
মুক্তিযুদ্ধের ফসল ব্র্যাক, বাংলাদেশের সমান বয়সী।
ব্র্যাকের কার্যক্রমে মানুষকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন বা স্বাবলম্বী করাই গুরুত্ব পায়নি, গুরুত্ব পেয়েছে মানুষের জীবন বাঁচানো বা শিশুমৃত্যু কমানোর মতো বিষয়গুলো। গরীব মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে, টিকা দিতে হবে, শিশু মৃত্যু কমাতে হবে, জন্মহার কমাতে হবে, ফজলে হাসানের সঙ্গে আলোচনায় বারবার এসব প্রসঙ্গ এসেছে।
১৯৭৯ সাল ছিল আন্তর্জাতিক শিশুবর্ষ। সেবছর ব্র্যাকই বাংলাদেশে প্রথম সন্তানসম্ভবা মা ও শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনে। ফজলে হাসান আবেদ বলছিলেন, 'সেই সময় এক বছর বয়সী যত শিশুর মৃত্যু হতো, তার ৭ শতাংশ মারা যেত টিটেনাসে আক্রান্ত হয়ে। এই ৭ শতাংশ শিশুকে বাঁচানো যায়, যদি সন্তানসম্ভবা মায়েদের 'টিটেনাস টক্সয়েড ইনজেকশন' দেওয়া যায়।'
যিনি জমিদার পরিবারের সন্তান, দেশের প্রথম নেভাল আর্কিটেক্ট হওয়ার রোমান্টিসিজম নিয়ে লন্ডন গেলেন, ৪ বছরের কোর্স ২ বছর পর বাদ দিয়ে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ে ৪ বছরের প্রফেশনাল কোর্স শেষ করলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডায় বহুজাতিক কোম্পানিতে উচ্চ বেতনে চাকরি করলেন—এমন একজন মানুষ একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করলেন। সেই প্রতিষ্ঠানের কাজের বড় অংশ জুড়ে গরীব মানুষ, শিশু মৃত্যু, মা ও শিশুদের টিকা দেওয়া বা জন্মহার কমানোর মতো বিষয় গুরুত্ব পেল। এই যে গরীব মানুষকে নিয়ে ভাবনা, যা তিনি পেয়েছিলেন মায়ের থেকে। মা তার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন, সেই কথা বারবার বলেছেন।
যেকোনো কাজ করার শুরুতেই ফজলে হাসান আবেদ তথ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দিতেন। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে তিনি নিজে উদ্যোগ নিতেন। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি অনুষ্ঠানে তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন 'শিশুদের জন্য আমরা কি করতে পারি?'
ফজলে হাসান আবেদ বলেছিলেন, 'আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি। যে দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি, সেই দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও বেশি। দেখা গেছে একটি দেশে শিশুমৃত্যুর হার কমার কয়েক বছরের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করে। শিশুমৃত্যুর উচ্চহার ও জনসংখ্যার বিস্ফোরণ আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে বাধা।'
সেখানে আলোচনা হয়েছিল মায়েদের টিটেনাস ইনজেকশন দেওয়ার বিষয়টি। যা পছন্দ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। টিটেনাস ইনজেকশনের বিষয়টি ফজলে হাসান আবেদ জেনেছিলেন আইসিডিডিআর'বিতে কর্মরত তার বন্ধু ড. লিঙ্কন চেনের কাছ থেকে। আরও জেনেছিলেন, শুধু টিটেনাস নয়, আরও কিছু টিকা দিলে বহু শিশুর মৃত্যু ঠেকানো যাবে। টিকা যোগার করা, টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ কোনো কিছুই বড় সমস্যা হবে না। কিন্তু বড় একটি সমস্যা সামনে এলো। টিকা দেওয়া শুরু করা গেল না। টিকা সংরক্ষণে তাপমাত্রা বাধ্যবাধকতায় রেফ্রিজারেটর অপরিহার্য। রেফ্রিজারেটরের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য, যা দেশের সব থানায় নেই। সব থানা এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য কমপক্ষে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। থেমে গেল টিকাদান কর্মসূচি। থেমে গেল না ব্র্যাক, থেমে গেলেন না ফজলে হাসান আবেদ। ঝাঁপিয়ে পড়লেন ডায়রিয়া প্রতিরোধে। লবণ গুড়ের খাবার স্যালাইন নিয়ে যেতে শুরু করলেন বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি ঘরে। শুধু বাংলাদেশ নয়, তিনি ওরস্যালাইন নিয়ে পৌঁছে গেলেন ইন্দোনেশিয়া থেকে আফ্রিকায়। সাফল্য সর্বত্র।
১৯৭৯ সালে উদ্যোগ নিয়েও যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা যায়নি, তা শুরু করার সুযোগ এলো ৬-৭ বছর পরে।
১৯৮৬ সালে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুযোগ এলো। কাজটি করবে ব্র্যাক, কিন্তু সরকারের অবকাঠামো ও লোকজন সঙ্গে নিয়ে। ফজলে হাসান আবেদ সব সময় টেকসই কাজে বিশ্বাসী ছিলেন। ব্র্যাক কাজটি করে দিয়ে আসবে, কিন্তু সরকারের লোকজন যদি সম্পৃক্ত না থাকে তবে ধারাবাহিকতা থাকবে না। ব্র্যাক চলে এলে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য ধরে রাখা যাবে না। তখন ৪টি বিভাগ। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশে ব্র্যাক এবং সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাকি অংশে কাজ করবে। কেয়ার কাজ করবে খুলনা বিভাগে। বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও এবং হামের টিকা দেওয়া শুরু হলো। কাজটি সরকার ও কেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে করলেও পুরো পরিকল্পনা, ট্রেনিং সবই ছিল ব্র্যাকের।
১৯৯০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির ওপর জরিপ করল। জরিপে দেখা গেল, ব্র্যাকের করা অঞ্চলগুলোতে ৮০ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কেয়ারের খুলনা বিভাগে ৬৫ শতাংশ, সরকারের ঢাকা বিভাগে ৫৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্র্যাকের সাফল্যের স্বীকৃতি দিল।
এই টিকাদান কর্মসূচিতে সরকার যে এত সক্রিয়ভাবে অংশ নিলো, তার নেপথ্যে ফজলে হাসান আবেদের ভূমিকা ছিল। পৃথিবীর শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘ ১৯৯০ সালে শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করবে। সম্মেলনে সেইসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, যেসব দেশ ১৯৯০ সালের মধ্যে 'ইউনিভার্সাল চাইল্ড ইমুনাইজেশন' সম্পন্ন করতে পারবে। ইউনিসেফের তৎকালীন প্রধান জেমস পি গ্র্যান্টকে দিয়ে রাষ্ট্রপতি এরশাদকে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। ১৯৯০ সালের জাতিসংঘের এই বিশেষ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে সরকার প্রধান হিসাবে এরশাদ এবং ব্র্যাক থেকে ফজলে হাসান আবেদ আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।
১৯৮০ সালে নবজাতকের মৃত্যুহার ছিল হাজারে ১৩৫ এবং শিশুমৃত্যুর হার ছিল ২৫০। ১৯৯০ সালে এসে নবজাতকের মৃত্যুহার দাঁড়ালো হাজারে ৯০ এবং শিশুমৃত্যু হার ১২০। ৪ বছরে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যে শিশুমৃত্যু হার অর্ধেকে নেমে এসেছিল। সেই সময়ের জরিপে দেখা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমে এসেছিল।
আজকের বাংলাদেশ পৃথিবীর বহু দেশের চেয়ে মা ও শিশুর টিকাদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে। কোভিডের সময় টিকাদানের প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় আসে। টিকাদানের এই সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্র্যাক। অন্য বহুক্ষেত্রের মতো যার নেতৃত্বে এই অর্জন, তিনি কিংবদন্তী স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ব্র্যাকের কর্মী, বাংলাদেশের মানুষের ভাই, আবেদ ভাই।
গোলাম মোর্তোজা: 'ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক' বইয়ের লেখক
Comments