বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশংসা মার্কিন বিশেষ দূতের

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন বিশেষ দূত রাশেদ হুসেইন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশংসা করেছেন মার্কিন বিশেষ দূত রাশেদ হুসেইন। তবে কিছু লোক মানুষের এ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্যে বিভক্তি ধরাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইউএস অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রাশেদ হুসেইন আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকেদের শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করতে দেখে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত আমার পর্যবেক্ষণে দেখতে পাচ্ছি এখানে হিন্দু ও মুসলমানরা একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।'

গত বছর দুর্গাপূজার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে তার বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন।

তবে তিনি বলেন, 'তবে ওই ঘটনার পর সরকারের কঠোর বক্তব্য দেখে আমরা খুব উত্সাহিত হয়েছি।'

তিনি জানান, আজ সকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তারা জানিয়েছেন যে হিন্দু ও মুসলমানরা শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করছে।

মার্কিন দূত রাশেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'কিন্তু, কিছু লোক আছে যারা বাইরে থেকে এসে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যারা এভাবে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চাইছে তাদের যেন সে সুযোগ দেওয়া না হয়।'

কারা বিভাজন করতে চাইছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের বিষয়। যারা মানুষকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে, আমাদের অবশ্যই তাদের উত্সাহ দিতে হবে এবং যারা বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তাদের নিন্দা জানাতে হবে।'

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, মুসলিম ও হিন্দু সবার ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

'আমরা বিশ্বের সর্বত্র সব মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেখতে চাই। সেটা পাকিস্তান হোক, বাংলাদেশ হোক, ভারত হোক বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটাই আমাদের বার্তা,' বলেন তিনি।

রাশেদ হুসেইন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থায় (ওআইসি) ওবামা সরকারের বিশেষ দূত ছিলেন।

গত ১৭ এপ্রিল ৪ দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশে আসেন।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

16h ago