বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর তারিখ চূড়ান্ত হয়নি আজও

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার কোনো তারিখ নির্ধারণ ছাড়াই রোববার একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষ হয়েছে।
ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার কোনো তারিখ নির্ধারণ ছাড়াই রোববার একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষ হয়েছে।

চলতি মাসে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে এর আগে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছিল।

রেলওয়ে মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ট্রেনের যাত্রীদের ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়ার জন্য ভারতকে চিঠি দেবে বলে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী রোববার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'ভারতীয় কর্তৃপক্ষ চিঠির উত্তর দিলে ট্রেন চলাচল শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।'

তবে ১ এপ্রিল কিংবা ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আলোচনা করা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে, ভারত স্থলপথ বা নদীপথ দিয়ে কোনো বিদেশি নাগরিককে পর্যটক ভিসায় সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। শুধু আকাশপথে ভারতে যেতে পারছেন পর্যটকরা।

ট্রেন চলাচল শুরুর আগে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ২৬ মার্চ থেকে পুনরায় দুই দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিল।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতা রুটে এবং বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ ট্রেন দুটি বন্ধ করা হয়।

গত বছরের ২৬ মার্চ আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দুই দেশের ট্রেন যোগাযোগ আবার চালু হলে এটিও চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments