‘বাজারে স্বস্তি ফিরেছে মানে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে’
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের যখন দীর্ঘ লাইন, তখন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান বলছেন, 'বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। মানুষ পণ্য কিনতে পারছেন।'
এই স্বস্তি বলতে আসলে তিনি কী বুঝাতে চাচ্ছেন তা জানতে দ্য ডেইলি স্টার আজ বৃহস্পতিবার আ. গাফফার খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছে।
গাফফার খান বলেন, 'বাজারে স্বস্তি ফিরেছে মানে, বাজারে এখন জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। যেমন সয়াবিন তেল আগে পাওয়া যেত না, এখন পাওয়া যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম আগে অনেক বেশি ছিল, এখন কমেছে। আলুও কম দাম পাওয়া যাচ্ছে, সবজির দামও কমেছে। এমন অধিকাংশ খাদ্যপণ্য আমাদের স্বস্তির মধ্যে আছে।'
এখন স্বস্তির মধ্যে আছে, আগে কি স্বস্তির মধ্যে ছিল না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আগে কিছুটা সংকট ছিল এবং জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি ছিল। এখন কমেছে।'
বাজারে কি এখন কোনো সমস্যা নেই? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'গতকাল আমাদের যে মিটিং হয়েছে সেখানে আমি কিন্তু বলিনি যে বাজারে সমস্যা নেই। বাজারে সমস্যা না থাকলে তো আর আমরা মিটিং করতাম না।'
বাজারের সমস্যা মোকাবিলায় কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কাস্টমস যেন দ্রুত মালামাল খালাসের ব্যবস্থা করে, ফেরিগুলো যেন দ্রুত খাদ্যপণ্য সরবরাহে সহায়তা করে সেসব বিষয়ে গতকালের মিটিংয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বাজারে যেন সব খাদ্যপণ্য দ্রুত পৌঁছায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আরও বলেছি, যারা পণ্যমজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, মসুর ডাল (চিকন) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা প্রতিকেজি দরে।
এক সপ্তাহ আগেও এসব পণ্য একই মূল্যে বিক্রি হতো বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকরা।
কিছু সবজির দাম কমলেও আলুর দাম অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটল, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স ও পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজার সংযোগ-০১) মো. মজিবর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজারে আসলে পণ্যের সংকট নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে নিজেরা পণ্য মজুদ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার গতকালের মিটিংয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি পণ্যের মজুদ করে সংকট তৈরি না করতে।'
তিনি আরও বলেন, 'কেউ যদি ইচ্ছে করে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করেন, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ীকে এই আইন অনুযায়ী জরিমানা করেছি।'
Comments