বিছানায় ২ সন্তানের মরদেহ, রশিতে ঝুলছেন মা

ঘরের ভেতর বিছানায় ২ শিশু সন্তানের মরদেহ, সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের মায়ের মরদেহ।
বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস এলাকা থেকে তাদের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট গিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করে। মরদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস এলাকার কৈলাষেরঘোনা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘরের একটি কক্ষের সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্হায় পাওয়া যায় তার স্ত্রী জিসান আকতার (২৫)-কে। একই কক্ষের বিছানায় পাওয়া যায় তাদের ২ মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিনের (২) মরদেহ।
বিকেল ৫টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রতিবেশীরা।
ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূর মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহিদুল হক ও তার ভাই জিয়াউল হক লবণের ব্যবসা করেন। আজ সকালে লবণ নিয়ে শহিদুল মহেশখালী গেছেন বলে জেনেছি। সন্ধ্যায় আমরা যখন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যায় তখনো শহিদুল হক মহেশখালী থেকে ফেরেননি।'
ওসি আবদুল হালিম বলেন, 'স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই, নতুন অফিস এলাকার কৈলাষের ঘোনা গ্রামের শহিদুল হকের বাড়িতে ২ শিশু সন্তানসহ তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। একটি খাটে দুই শিশুর মরদেহ পড়ে আছে। আর মায়ের দেহটি ঝুলছিল ফ্যানের সঙ্গে। কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল এখনো জানা যায়নি। সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে খবর দেওয়া হয়। তারা গিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্প সময়ে ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করায় পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই চলতেন। পরিবারে কোনো ধরনের কলহ ছিল বলেও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েদের বিষ খাইয়ে হত্যার পর নিজেই ফাঁসিতে ঝুলেছে শহিদুল হকের স্ত্রী।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দ্বিতল বাড়িতে জিয়াউল হক নিচে ও শহিদুল হক ওপরে বসবাস করেন। শহিদুলের শোবার ঘরেই মা-মেয়ের মরদেহগুলো পাওয়া যায়। কোন পারিবারিক কলহের কথা কেউ জানেন না।
Comments