বিলিয়ন ডলারে তৈরি মেট্রো রেলের পিলারে পোস্টার, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের ক্ষোভ

ঢাকায় মেট্রো রেলের পিলারে দৃষ্টিকটু পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় রেলের পিলারগুলোতে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এই দৃশ্য দূষণে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারি, অথচ পিলারগুলোকে পোস্টার-মুক্ত রাখার সামান্য উদ্যোগটি আমরা নিতে পারি না।

কোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প না নিয়েও যে মেট্রো রেলকে দৃশ্য দূষণ থেকে মুক্ত রাখা যায় তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ। তিনি মেট্রো রেলকে পোস্টার মুক্ত রাখতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। স্টার ফাইল ছবি

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, 'মেট্রো রেলের যে বিস্তৃত বিশালাকার অবকাঠামো, তাকে নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সহায়ক বলা যায় না। তবুও গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই প্রকল্পের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিনা খরচে যেটুকু দৃষ্টিনন্দন করা যায় সে চেষ্টা তো থাকতে হবে। এখনও মেট্রো রেলের পিলারগুলোতে ছিটেফোঁটা দুএকটি পোস্টার শুধু দেখা যায়, কিন্তু শুরুতে প্রতিকার না করলে পরে এটা প্রকোপ আকার নেবে।

তিনি আরও বলেন, 'ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য তো অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্প প্রায়ই গ্রহণ করা হয়, যদিও পরবর্তীতে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দিকে আমাদের নজর কম থাকে। যাদের উদ্যোগে পোস্টার লাগানো হয়, তাদের নাম আর ছবি তো পোস্টারের গায়েই থাকে। এটা কিছুটা অভ্যাস-আচরণের ব্যাপারও। যারা একটা নতুন পরিষ্কার পিলার বা দেয়ালে প্রথম পোস্টারটি অবৈধ ভাবে সেঁটে দেন, তাদের কি ন্যূনতম নাগরিক দায়িত্ববোধ বা রুচিশীলতা নেই!'

Comments

The Daily Star  | English

Customs flags hurdles at 3rd terminal of Dhaka airport

Customs House Dhaka said it has found more than a dozen issues related to infrastructure, security, and operational readiness of the new terminal

12h ago