বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় বাংলাদেশি অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদ।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদ।

যেখানে ১৯৬৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৬০ লাখ বিজ্ঞানীর প্রকাশনা, উদ্ধৃতি, এইচ-ইনডেক্সসহ অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়।

এস এম সোহেল মুর্শেদ পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটো সুপিরিয়র টেকনিকোর (আইএসটি) অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ভিজিটিং প্রফেসর।

অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ পর্তুগাল থেকে তালিকাভুক্ত ৭০৩ জন বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৫২তম অবস্থানে রয়েছেন।  

প্রফেসর সোহেল মুর্শেদের জন্ম বাংলাদেশের নড়াইল জেলায়। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে পাস করে রুয়েট ও বুয়েট থেকে যথাক্রমে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। 

অধ্যাপক সোহেল মোর্শেদ এ পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্সে ১৮০টিরও বেশি গবেষণাপত্র ছাড়াও ১০টি বই এবং বিভিন্ন বইয়ে ৩২টি অধ্যায় প্রকাশ করেছেন। ওয়েব অফ সায়েন্স তার গবেষণা পেপার্সগুলোকে খুব বেশি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। 

২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের প্রতিনিধি হিসেবে ইউরোপীয়ান কোঅপরারেশন ইন সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (সিওএসটি) কাজ করেন। সেখানে তিনি দলনেতাও ছিলেন।

২০২০ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ এএসইএম-ডুয়ো প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ পুরস্কার পান। প্রফেসর সোহেল মোর্শেদ এর আগে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি নিয়মিতভাবে ইউরোপীয় কমিশনের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট এবং মূল্যায়নকারী হিসেবে এবং বিভিন্ন দেশের ফান্ডিং এজেন্সির হয়েও কাজ করছেন।

এ ছাড়া, তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সমিতি এবং সংস্থার সদস্য। তিনি শীর্ষ আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে পর্যালোচনাকারী হিসাবেও কাজ করেন।

সোহেল মুর্শেদ ন্যানো-থার্মোফ্লুয়েডের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের একজন এবং তার অন্যান্য গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি, মাইক্রোফ্লুইডিক্স এবং উন্নত কুলিং প্রযুক্তি। তার অধীনে বর্তমানে ২ জন পোস্টডক্টরাল ফেলোসহ বেশ কয়েকজন গবেষক কাজ করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

17h ago