ভেঙে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই সেতু

আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী বিলের মাঝখানে নির্মিত সেতু। ছবি: স্টার

গত ২২ বছরেও সংযোগ সড়ক না হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী বিলের মাঝখানে নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইট-বোঝাই একটি নৌকার ধাক্কায় স্থানীয় নয়াখালের ওপরে থাকা সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেসময় সেতুটি ভেঙে নৌকার ওপর পড়লে ইটসহ নৌকাটিও ডুবে যায়।

প্রসঙ্গত, এই সেতু নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইনে ভিডিও স্টোরিসহ সচিত্র প্রতিবেদন ও প্রিন্ট ভার্সনে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়।

বনগজ গ্রামের কামরুজ্জামান লালু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে প্রায় সাত হাজার ইট-বোঝাই একটি নৌকার সামনের অংশ সেতুর মাঝখানের পিলারে ধাক্কা দিলে সেতুটি আংশিক ভেঙে যায়। ভাঙা অংশ নৌকার ওপর পড়লে নৌকাটি খালে ডুবে যায়। তবে মাঝিসহ সহযোগীদের থাকার কক্ষটি নৌকার পেছন দিকে থাকায় তারা অক্ষত আছেন।'

স্থানীয়রা ডেইলি স্টার জানান, এলাকাবাসীর দাবির মুখে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শাহ আলম বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নয়াখালের ওপর সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আখাউড়া উপজেলা এলজিইডি'র নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছিল।
উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি সেতুটির দুই গোঁড়ায় মাটি নেই। সমতল থেকে অন্তত ১৫ ফুট উঁচু সেতুটি ঝুলে আছে। দীর্ঘ ২২ বছর সেতুটিতে কেউ কখনও উঠানামা করেনি।

বনগজ গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা শানু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংযোগ সড়ক না থাকায় বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মানুষ বর্ষার সময় নৌকায় এবং অন্য সময়ে পানি ভেঙে খালটি পার হন। তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'কৃষ্ণনগর, বনগজ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষকরা তাদের চরের জমিতে ধানসহ মিষ্টি কুমড়া, তেতো করলা ও খিরা উৎপাদন করেন। কিন্তু, সড়ক যোগাযোগ না থাকায় তারা উৎপাদিত কৃষিপণ্য কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি'র আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইউএনওর মাধ্যমে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

8h ago