‘র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সমর্থন চেয়েছি’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এর কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ভারতের সমর্থন চেয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, আমরা তাদের (ভারতের) সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রতি খুব আন্তরিক। তারা (ভারতীয় পক্ষ) বলেছে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় কমিউনিটির প্রায় ৪৫ লাখ সদস্যও (মার্কিন) সরকারকে অনুরোধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'তারা (যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় সম্প্রদায়) খুবই প্রভাবশালী।'
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকায় আসার কথা। তিনি চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিও সফর করেন।
অন্যদিকে আইনপ্রয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি বলেছেন, সুস্পষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা ছাড়া র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমরা এমন একটি র্যাব চাই যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখার ব্যাপারে।'
বাংলাদেশের পক্ষের কথায় মার্কিন পক্ষ আশ্বস্ত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তারা হয়তো এখনো সন্তুষ্ট নন, তবে ভবিষ্যতে তারা সন্তুষ্ট হবেন।'
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের ইতোমধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবো।'
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম পুলিশ, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট এবং চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
Comments