র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী

ড. ফেরদৌসী কাদরী। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ার নোবেল খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসেসে ২০২১ পুরস্কার পেয়েছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী।

র‌্যামন ম্যাগসেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. ফেরদৌসী ১৯৮৮ সালে আইসিডিডিআর,বিতে যোগ দেন।

'সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, ইমিউনোলোজি, টিকার উন্নয়ন ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর ড. ফেরদৌসীর অবদান আছে' উল্লেখ করে র‌্যামন ম্যাগসেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আরও জানানো হয়েছে— নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও চিকিৎসার কম সুযোগ-সুবিধার কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর প্রধান রোগ কলেরা ও টাইফয়েড। ড. ফেরদৌসী রোগ দুইটি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সাশ্রয়ী মূল্যে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন (ওসিভি) ও প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু এমনকি নয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য টাইফয়েডের টিকা (ভিআইটিসিভি) তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

ড. ফেরদৌসী ২০১৪ সালে ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে বায়োমেডিকেল গবেষণা, ট্রেনিং কোর্স ও টেস্টিং সেন্টার পরিচালনা করা হয়। এটি বাংলাদেশের স্থানীয় ও ভিজিটিং বিজ্ঞানীদের কাজের একটি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

এশিয়ায় দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতিবছর ম্যাগসেসে পুরস্কার দেওয়া হয়।

ড. ফেরদৌসী কাদরী ছাড়াও এবারের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— পাকিস্তানের মুহাম্মদ আমজাদ সাদিক, ফিলিপাইনের রবার্তো ব্যালন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্টিভেন মানসি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান ওয়াচডক।

শাসনে সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা ও একটি গণতান্ত্রিক সমাজে বাস্তববাদী আদর্শকে চিরস্থায়ী করার জন্যে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র‌্যামন ম্যাগসেসের যে অবদান তা স্মরণ করে রাখতে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়।

ফিলিপাইন সরকারের সম্মতিতে নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ডের ট্রাস্টিরা ১৯৫৭ সালের এপ্রিলে ম্যাগসেসে পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago