লাঠিটিলা সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিলের দাবি টিআইবির

বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনভূমিতে সাফারি পার্ক স্থাপন প্রকল্প বাতিল এবং এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এ ছাড়া, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংস্থাটি। 

আজ শুক্রবার টিআইবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়। 

টিআইবি জানায়, পর্যটনের নামে পরিবেশ বিধ্বংসী এই প্রকল্পটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ছাড়াও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে গণমাধ্যমকর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনকে স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে টিআইবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া একজন সাবেক বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে সম্পন্ন হওয়া একটি সমীক্ষার ওপর নির্ভর করে সংরক্ষিত বনের মধ্যে সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা এই উদ্যোগের সার্বিক উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'মৌলভীবাজারে জাতীয় উদ্যানসহ বেশ কয়েকটি ইকোপার্ক থাকা সত্ত্বেও ক্রান্তীয় চিরসবুজ বনে সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা কতটুকু? সংরক্ষিত বনের মধ্যে সাফারি পার্ক স্থাপন এবং বিবিধ অবকাঠামো নির্মাণ হলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়াসহ বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্তি এবং দীর্ঘমেয়াদে পুরো বন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা বন্য প্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা করছেন, তা অমূলক নয়।'

তাছাড়া, এই সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক স্থাপন করা হলে বনের মধ্যে ছয়টি গ্রামের ৩০০ পরিবার ও বননির্ভর স্থানীয় জনগোষ্ঠী উচ্ছেদের আশঙ্কা রয়েছে। তাই লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সাফারি পার্ক নির্মাণ না করে স্থানীয় অধিবাসী ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রতি গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

পরিবেশ বিধ্বংসী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে অতীতে গৃহীত ও বাস্তবায়িত এ জাতীয় প্রকল্পগুলোর ফলাফল এবং সংরক্ষিত বনের সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়গুলো ব্যাপকভিত্তিক পর্যালোচনা জরুরি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, 'সংরক্ষিত বনভূমিতে সাফারি পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের জেরে স্থানীয় সাংবাদিকদের বাসা ঘেরাও, হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি স্বরূপ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago