লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের ৩২ ওএমএস দোকানে ৭ দিন ধরে আটা সরবরাহ বন্ধ

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম শহরের ৩২টি ওপেন মার্কেট সেলস (ওএমএস) দোকানে গত ১৬ মে থেকে সরকারিভাবে আটা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় সুবিধাভোগীরা।
lalmonirhat-oms-shop_ds.jpg
ওএমএস দোকানে আসা ক্রেতাদের বেশিরভাগই আটা কিনতে এসেছেন। ছবি: স্টার

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম শহরের ৩২টি ওপেন মার্কেট সেলস (ওএমএস) দোকানে গত ১৬ মে থেকে সরকারিভাবে আটা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় সুবিধাভোগীরা।

ওএমএস ডিলাররা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ওএমএস দোকানে সুবিধাভোগীদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। আটা সরবরাহ বন্ধ থাকলেও এসব দোকানগুলোতে সরকারিভাবে নিয়মিত চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে, এসব দোকানে চালের চেয়ে আটার চাহিদা বেশি। সরকারিভাবে আটা সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কথা জেনেও সুবিধাভোগীরা প্রতিদিন আটার জন্যে দোকানে ভিড় করছেন এবং খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

লালমনিরহাট শহরের শহীদ শাহজাহান কলোনি বস্তি এলাকার দিনমজুর জাহেদা বেওয়া (৫২) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওএমএস দোকানে সরকারিভাবে আটা সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। ওএমএস দোকান থেকে আমরা প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে কিনতাম। এখন বাজারের দোকান থেকে প্রতি কেজি আটা ৩৮-৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।'

কুড়িগ্রাম শহরের স্টেশন রোড এলাকার রিকশাচালক মজিদুল ইসলাম (৪৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে ওএমএস দোকান থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে পেরে আমরা উপকৃত হতাম। আমাদের ৫ জনের পরিবারে সবাই আটার রুটি খেতে পছন্দ করে। বাজারের দোকানে ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে আটা কেনার সামর্থ্য আমার নেই।'

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, আগে লালমনিরহাট শহরে ১৩টি ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ১৮ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ৫ মেট্রিক টন ও কুড়িগ্রাম শহরে ১৯ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হতো। সরকারি নির্দেশে গত ১৬ মে থেকে এসব ওএমএস ডিলারের দোকানে আটা সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে, এখন ৩০ টাকা কেজি দরে লালমনিরহাটের ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ মেট্রিক টন চাল ও কুড়িগ্রামে ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৯ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। একজন সুবিধাভোগী সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারছেন এসব ওএমএস দোকান থেকে।

লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারি খাদ্য গুদামে গমের সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ওএমএস দোকানে আপাতত আটা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে, ডিলাররা আমাদের ফোন করে আটার ব্যাপক চাহিদার কথা জানাচ্ছেন।'

কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বক্কর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওএমএস দোকানে আটার চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু, সরকারি নির্দেশে আটা সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। গমের চাহিদা পূরণে সরকার চেষ্টা করছে। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশ পেলে ওএমএস দোকানে আবারও আটা সরবরাহ করা হবে।'

Comments