লিজ দেওয়া ট্রেনে ১ কিলোমিটারে যাত্রী প্রতি খরচ ২.৪৩ টাকা, আয় ৬২ পয়সা

সংসদ ভবন
ফাইল ফটো

৩ বছর আগে বেসরকারি খাতে লিজ দেওয়া ৪০টি ট্রেনে যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে খরচ হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। আর আয় হয়েছে ৬২ পয়সা। একই সময়ে মালামাল পরিবহন বাবদ কিলোমিটারে টনপ্রতি খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সা। আর এ সময়ে আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য উপস্থাপন করে।

তবে লিজে দেওয়া ট্রেনগুলোতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠক সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, কমিটির কাছে মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া কার্যপত্র থেকে ট্রেনের আয়-ব্যয়ের ওই হিসাব পাওয়া গেছে।

তবে এই হিসাবে অসন্তোষ প্রকাশের পর সংসদীয় কমিটি ট্রেনপ্রতি খরচের হিসাব চেয়েছে।

এ সময় মন্ত্রণালয় জানায় যে তারা ট্রেনভিত্তিক খরচের হিসাব তৈরি করে না।

'রেলওয়ে কস্টিং প্রোফাইলে' ট্রেনের প্রতি কিলোমিটার পরিচালনার খরচ হিসাব করা হয় বলে জানায় রেল মন্ত্রণালয়।

কমিটির কাছে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ৪০টি ট্রেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত হয়। বছরে এই ট্রেনগুলোতে খরচ হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯০ টাকা।

ব্যয়ের বিস্তারিত খরচ না দেওয়ার কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত ৪০টি ট্রেনের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংসদের গণসংযোগ শাখা থেকে তথ্য নেওয়ার জন্য বলেন তিনি।

তবে কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, 'কমিটিতে বলা হয়েছে যে বেসরকারি খাতে দিয়ে যদি রেল লসে থাকে, তাহলে লিজ দেওয়াতে কী লাভ হলো। রেলওয়ে নিজেই তো চালাতে পারে। আর আমরা আয়-ব্যয় উভয়েরই হিসাব চেয়েছিলাম। সেটা তারা দেয়নি। এজন্য পরের বৈঠকে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।'

এদিকে সংসদীয় কমিটির গত বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ঈদের পর কোরিয়া, চীন কিংবা জাপানের রেলওয়ের কার্যক্রম সরেজমিনে কমিটির সদস্যদের সফরের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছিল।

তবে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কোরিয়া, জাপান ও চীনে করোনাভাইরাসের কারণে এখনো ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি আছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হলে ওই সফরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হলেও কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আজকের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সিআরবি অথবা কুমিরায় ১৩ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণ, অবৈধভাবে দখলকৃত সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের জায়গা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনগণের সহযোগিতায় পুনরুদ্ধার, হবিগঞ্জের সাটিয়াজুরী রেলওয়ে স্টেশন পর্যটন সুবিধাসহ আধুনিকায়ন বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

8h ago