লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশি সাংবাদিক ও প্রকৌশলী এখন মুক্ত

ঢাকা থেকে ত্রিপোলিতে যাওয়ার পর নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান ও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) তারা মুক্ত হন।
সাংবাদিক জাহিদুর রহমান ও প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে ত্রিপোলিতে যাওয়ার পর নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার লিবিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) তারা মুক্ত হন।

মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক জাহিদুর রহমান রাত পৌনে ১০টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যমকর্মী সবাই যেভাবে পাশে ছিলেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা। মনে হলো নতুন জীবন পেলাম।'

জাহিদুর রহমানের সঙ্গে থাকা প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপুর বাবা দারুল ইসলাম রাতে সাড়ে ৯টায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাত্রই আমার ছেলে ঘরে এলো। রাষ্ট্রদূত মহোদয়সহ সবাই এসেছিলেন। এই আনন্দ প্রকাশ করার নয়।'

গত ২১ মার্চ লিবিয়ায় যান বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান। ২৩ মার্চ থেকে ৫ দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এবং লিবিয়ান গাড়ি চালক মোহাম্মদ খালেদও নিখোঁজ হন। তাদের খোঁজে দূতাবাস লিবিয়ার নানা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ২৮ মার্চ লিবিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, বংলাদেশি সাংবাদিক ও প্রকৌশলী সরকারি কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছেন। এরপরই তাদের মুক্ত করার উদ্যোগ নেয় দূতাবাস। এক পর্যায়ে বুধবার লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সবার সহযোগিতায় অবশেষে বাংলাদেশি সাংবাদিক ও প্রকৌশলীকে মুক্ত করা গেছে। প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম তার পরিবারের কাছে গিয়েছেন। সাংবাদিক জাহিদুর শিগগির ঢাকায় ফিরবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জাহিদুর রহমান ও সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের পর বর্তমানে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আশা করা যায়, দুএক দিনের মধ্যে তারা দেশে ফিরতে পারবেন।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ সাংবাদিক জাহিদ টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে পারিবারিক ভিসা নিয়ে লন্ডনে যান। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ঘুরে ২১ মার্চ তিনি লিবিয়ায় পৌঁছান। এরপর প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপোলির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান ও ছবি তোলেন সাংবাদিক জাহিদুর রহমান। ফলে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহ হয়। ২৩ মার্চ লিবিয়ার গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদসহ তাদের ৩ জনকে ত্রিপোলি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

শরিফুল হাসান: ফ্রি ল্যান্স সাংবাদিক, দ্য ডেইলি স্টার

Comments

The Daily Star  | English

Abantika: A victim of institutional neglect

The universities also didn't organise any awareness activities regarding where and how to file complaints.

5h ago