শীতে চরম দুর্ভোগে তিস্তা-ধরলার চরের মানুষ

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রামে শীতার্ত মানুষ। ছবি: দিলীপ রায়/স্টার

হাত-পা জমে যাওয়া ঠান্ডায় চরম কষ্টে পড়েছেন তিস্তা-ধরলা নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও চরাঞ্চলের মানুষ। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় তাদের কষ্ট বেড়েছে বহু গুণ।

এই ঠান্ডা উপেক্ষা করে অনেকে কাজ করছেন ফসলের খেতে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ডকিপার সুবল চন্দ্র রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ বুধবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।'

'ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে' যোগ করেন তিনি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর এলাকার কৃষক মমিনুল ইসলাম (৪৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। দিনমজুররা বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।'

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি এলাকার দিনমজুর মোবারক হোসেন (৫২) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে। ঘরেও থাকতে পারছি না। কাজের জন্য বাইরে এসেছি। কিন্তু, কাজ পাচ্ছি না।'

তিনি আরও বলেন, 'শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। চরম কষ্টে আছি।'

সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতার্ত দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, তিস্তা, ধরলা ও জিঞ্জিরাম নদীর ৪ শতাধিক চরাঞ্চলে বেশিরভাগ শীতার্ত দুঃস্থ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে আছেন বলে মন্তব্য করেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Govt decides to ban activities of AL until completion of ICT trial

Law Adviser Prof Asif Nazrul said this at a press briefing after a special meeting of the advisory council tonight

1h ago