সন্ধ্যার পর শিমুলিয়ায় গাড়ির চাপ কমেছে

ঈদকে সামনে রেখে শিমুলিয়াঘাটে সারাদিন পারের অপেক্ষায় থাকা মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার করিয়েছেন জেলা পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের উপস্থিথিতে সিরিয়াল মেনে এসব গাড়ি পার করানো হয়। ফলে, সন্ধ্যার পর এই নৌরুটে গাড়ির চাপ কমেছে।
পুলিশ সদস্যরা সিরিয়াল মেনে এসব গাড়ি পার করান। ছবি: স্টার

ঈদকে সামনে রেখে শিমুলিয়াঘাটে সারাদিন পারের অপেক্ষায় থাকা মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার করিয়েছেন জেলা পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের উপস্থিথিতে সিরিয়াল মেনে এসব গাড়ি পার করানো হয়। ফলে, সন্ধ্যার পর এই নৌরুটে গাড়ির চাপ কমেছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফেরিঘাটে জেলা পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। প্রায় সারাদিন পুলিশ কর্মকর্তারা ৩ নম্বর রো রো ফেরি ফেরিঘাটে উপস্থিতি ছিলেন। এ ফেরিঘাট দিয়ে বড় ফেরিগুলো পারাপার করে থাকে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘাটে পারের অপেক্ষায় ছিল প্রায় ৩ শতাধিক প্রাইভেটকার ও হাজারো মোটরসাইকেল। তবে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ কমে। সন্ধ্যার ৭টায় ঘাটে পারের অপেক্ষায় কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে আসা গাড়িগুলোকে সিরিয়াল মেনে ফেরিতে প্রবেশ করানো হয়। ভোর থেকে সেখানে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির আলাদা কোনো লাইন ছিল না। কিন্তু, পুলিশ সদস্যরা এসে ঘাটে পৃথক লাইন তৈরি করেন। এরপর পারের ফেরিতে গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেল পার করতে গিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি পার করা যায়নি। ফেরির প্রবেশমুখে অসংখ্য বাইক থাকার কারণে লোড আনলোড করতেও অসুবিধা হয়। তবে, দুপুরের পর থেকে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার করা হয়। ভোর থেকে ফেরিঘাটে মোটরসাইকেলের বাড়তি চাপ ছিল। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল পার হয়েছে। এ নৌপথে ১০টি ফেরি চলাচল করে। শিমুলিয়া, মাঝিকান্দি ও বাংলাবাজার নৌপথে ৮ মাসের বেশি সময় ধরে শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপসহ হালকা যানবাহন পারাপার হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনার পর এ নৌপথে বাস-ট্রাকসহ ভারী যানবাহন পারাপার বন্ধ আছে।

মোটরসাইকেল যাত্রী আওলাদ হোসেন জানান, ঘাটে আসার পর কোনো সিরিয়াল না মেনেই মোটরসাইকেল ফেরিঘাটের সামনে গিয়ে জমতে থাকে। কোনো লাইন ছিল না। পুলিশ সদস্যরা এসে আলাদা লাইন করেছে। তারপর মাইক দিয়ে ১০-১২টি করে ডেকে ডেকে ফেরিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

ঢাকার উত্তরা থেকে আসা মোটরসাইকেল চালক মো. জালাল উদ্দিন জানান, পুলিশের এসপি এসে ঘাটে যানবাহন পারাপারের বিশৃঙ্খলা দূর করেছেন। এজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার চিত্র সেটি পাল্টে গেছে।

জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। সিরিয়াল মেনে গাড়িগুলোকে ফেরির মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে পার করা হয়। বিকালের পরে ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি পারের অপেক্ষায় ছিল না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ভোগান্তি ছাড়া যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। বিকেলে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু, পুলিশ আটকে থাকা গাড়ির জটলা দুপুরেই মধ্যেই ঠিক করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago