স্কুলে সবার কাছে জিতু উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত: র্যাব
আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষককে হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, মারামারিসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
স্কুলে সবার কাছে জিতু 'উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র' হিসেবে পরিচিত বলে উল্লেখ করে র্যাব জানায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও স্কুল চলাকালে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও বিরক্ত করত জিতু। এ ছাড়াও, জিতু স্কুলপ্রাঙ্গণে সবার সামনে ধূমপান, স্কুল ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত।
'তার নেতৃত্বে এলাকায় "জিতু দাদা" নামে একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। পাশাপাশি গ্যাং সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে যত্রতত্র আধিপত্য বিস্তার করত। পরিবারের কাছে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে গ্রেপ্তার জিতু তার অনুসারী গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হতো ও বিভিন্ন সময় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে হামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে শোডাউন দিত।'
গতকাল সন্ধ্যায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১ ও র্যাব-৪'র যৌথ অভিযানে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, জিতু আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি শিক্ষাজীবনে বিরতি দিয়ে প্রথমে স্কুল পরে মাদ্রাসা ও সর্বশেষ পুনরায় স্কুলে ভর্তি হয়। ওই স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে বর্তমানে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, ঘটনার পর জিতু সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান করলেও পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় এলাকা ত্যাগ করে। প্রথমে বাসযোগে মানিকগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রিযাপন করে। পরদিন সে তার অবস্থান পরিবর্তন করে আরিচা ফেরিঘাটে পৌঁছায় এবং ট্রলারে করে নদী পার হয়ে পাবনার আতাইকুলাতে তার এক পরিচিতের বাড়িতে আত্মগোপন করে। পরদিন ভোরে সে আবারও তার অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য আতাইকুলা থেকে বাসযোগে কাজিরহাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে লঞ্চে করে আরিচাঘাট পৌঁছায় এবং সেখান থেকে বাসযোগে গাজীপুরের শ্রীপুরে ধনুয়া গ্রামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব-১ তাকে গ্রেপ্তার করে।
Comments