হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক: প্রধানমন্ত্রী

pm_24jul22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে, এই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে একটু তাদের তো বলতে দিতে হবে। আর আমরা আমাদের কাজ করে যাই, দেশ এগিয়ে যাক। দেশ এগিয়ে যাবে, জনগণের ওপর আমাদের ভরসা আছে। জনগণ আমাদের পাশে আছে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন ও জাতীয় মৎস্য পদক- ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। 

এ সময় মৎস্য খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ ও সফলতার চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি সরকার গঠন করে গবেষণার ওপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিই। তখন হয়তো একটা-দুটা বিষয়ে গবেষণা হতো। আমরা ৯৬ সালে বাগেরহাটে চিংড়ি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। জাতির পিতার উদ্যোগ ছিল, পরবর্তীতে চাঁদপুরে ইলিশ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশীয় মাছ, আমাদের নদী-নালা-খাল-বিলে প্রাকৃতিকভাবে হতো, অনেক মাছ কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে। সেই মাছগুলোকে খুঁজে বের করা এবং এর ওপর গবেষণা করা...আমরা সচারাচর যেসব মাছ নিজেরা গ্রহণ করি, সেই মাছগুলোর ওপর আরও ব্যাপক গবেষণার কাজ হাতে নিই। তার সাফল্য আজ বাংলাদেশ পাচ্ছে। যে কারণে মিষ্টি পানির মাছ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। দেশীয় প্রজাতি, বিলুপ্ত প্রজাতির অনেক মাছ এখন গবেষণার মাধ্যমে ফিরে আসছে। যেটা আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে, আবার ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মৎস্য আমরা এখন উৎপাদন করতে পারি। একজন মানুষ ৬২ গ্রাম মাছ গ্রহণ করলেই সে আমিষ পেল। সেখানে আমরা তার থেকে বেশি মাছ এখন খাওয়ার সুযোগ পাই। এত মাছ আমাদের উৎপাদন হচ্ছে। আমি মনে করি যে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। তা ছাড়া মাছের যখন মৌসুম আসে যেমন ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার সময়, জাটকা যাতে না ধরে; আমরা মৎস্য চাষিদের নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে থাকি এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছি। খাঁচার মধ্যে মাছ চাষের ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাক। প্রথমে ছিল খাদ্য নিরাপত্তা। আজকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর আমরা এসেছি পুষ্টি নিরাপত্তায়। পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। যে পুষ্টিটা আসবে মাছ, ডিম, দুধ ও মাংসের মধ্য দিয়ে। শুধু আমরা নিজেরা চাহিদা মেটাব না-আমরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও পাঠাতে পারব। সেটা আমরা করতে পারব, এটা আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের এত বৈচিত্র্য রয়েছে মাছে; সেগুলো শুধু প্রক্রিয়াজাত করে; আমরা শুধু না, আমাদের প্রবাসী বাঙালি আছে যারা নিজের দেশের মাছটা খেতে চায়, সেদিকেও আমরা তাদের সুযোগ করে দিতে পারি।

আমি আর হিসাবে গেলাম না। যারা নাই নাই, গেল গেল, হায় হায় করে বেড়াচ্ছে, এই হায় হায় পার্টি হায় হায় করতেই থাকুক। মাঝে মাঝে একটু তাদের তো বলতে দিতে হবে। আর আমরা আমাদের কাজ করে যাই, দেশ এগিয়ে যাক। দেশ এগিয়ে যাবে, জনগণের ওপর আমাদের ভরসা আছে। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জাতির পিতাই তো বলে গেছেন যে, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না, সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

2h ago