২ বছর পর বান্দরবানে ‘সাংগ্রাই’ উৎসব
দীর্ঘ ২ বছর পর আবারও পাহাড়ে গানের সুরে বেজে উঠেছে 'সাংগ্রাইমা ঞিঞি ঞাঞা রিকেজে পাইমেহঃ' অর্থাৎ 'সাংগ্রাই আসছে একসঙ্গে মিলেমিশে জলকেলি উৎসবে মেঠে উঠি'। সুরে সুরে পাহাড়ের আনাচেকানাচে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা সম্প্রদায় মেতে উঠেছে তাদের সামাজিক উৎসবে।
এ দিন সকাল থেকে বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরে জড়ো হতে থাকেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে সমবেত হয় পাহাড়ের বসবাসরত ১১টি সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা।
আজ বুধবার সকালে শহরে রাজার মাঠে বেলুন উড়িয়ে মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ বা বর্ষবরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
উদ্বোধন শেষে সারিবদ্ধভাবে হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও গানের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে সমবেত হয়।
এ সময় বান্দারবানে বসবাসরত ১১টি সম্প্রদায়ের জাতিগোষ্ঠী অংশ নেন। পরে 'হিংসা বিদ্বেষ দূরে থাক শান্ত সবুজ গিরি ছায়ায়, সকল কালিমা মুছে যাক মৈত্রীময় জলধারায়' স্লোগানে শুরু হয় বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা। সে পূজায় বয়োজ্যেষ্ঠদের মাঝে মোমবাতি, আগরবাতি, দেশলাই ও ফল দান করেন আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান, মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনায় আবারও পাহাড়ে শুরু হচ্ছে ৩দিন ব্যাপী বান্দরবান সাংগ্রাই উৎসব (পোয়েঃ)। প্রথম দিনের আয়োজনে আছে বৌদ্ধ বিহারের ছোয়াইঃ প্রদান (আহার), বুদ্ধমূর্তি স্নান, ধর্ম দেশনা ইত্যাদি। দ্বিতীয় দিনে সাঙ্গু নদীর বালুচরে সাংগ্রাই পানি মৈত্রীবর্ষণ (জলকেলি), পাহাড়িদের ঐতিহ্য খেলাধুলা এবং তৃতীয় দিনে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় শুরু হবে পিঠা তৈরি উৎসব।
Comments