৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ছবি: স্টার

ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুন-উর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ এলাকায় মৌসুমী বায়ুপ্রাহ সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।'

এদিকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, কাপাসগোলা, চাঁদগাও, হালিশহর, বহদ্দারহাটসহ বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম মা, শিশু ও সদর হাসপাতালের নিচতলায় পানি প্রবেশ করায় রোগী ও পরিচারীকাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় মোটরযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং রাস্তায় খুব অল্প সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। 

ভোগান্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে পশ্চিম বাকলিয়া কেবি আমান আলী রোড এলাকার বাসিন্দা মনীষা ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বাড়িতে পানি ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। যখনই বৃষ্টি হয়, আমাদের ঘরে পানি ঢুকে যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতি বছর বর্ষায় এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।'

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পলিথিন বর্জ্যে এলাকার সব ড্রেন বন্ধ হয়ে গেলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) কর্মীরা সেটা নিয়মিত পরিষ্কার করতে আসেননি।'

তিনি আরও বলেন, 'এমনকি সংরক্ষণ কর্মীরাও এলাকায় প্রতিদিন গৃহস্থালির বর্জ্য সংগ্রহ করতে আসেন না। এ কারণে মানুষ সেগুলো রাস্তার পাশে ফেলতে বাধ্য হয়, সেগুলো রাস্তার পাশের ড্রেনে গিয়ে পড়ে। এরপর বৃষ্টি হলে পানি বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।'

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments