৫২০ টাকায় ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ

দেওয়ান মোহাম্মদ হোসেন পেশায় একজন শিক্ষক। তার বোন ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল এনজিওগ্রাম করার কথা থাকলেও তা হয়নি, চিকিৎসক পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন আগামী ৬ জুলাই।
ছবিটি দেওয়ান মোহাম্মদ হোসেনের ফেসবুক পোস্টের ভিডিও থেকে নেওয়া।

দেওয়ান মোহাম্মদ হোসেন পেশায় একজন শিক্ষক। তার বোন ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল এনজিওগ্রাম করার কথা থাকলেও তা হয়নি, চিকিৎসক পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন আগামী ৬ জুলাই।

আপাতত তাকে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরের দুর্গাবাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু, লকডাউনে পরিবহন বন্ধ, তাই রিকশা ও অটোরিকশায় করে ফিরতে হয়েছে। এজন্য ভাড়া বাবাদ খরচ করতে হয়েছে ৫২০ টাকা। স্বাভাবিক সময়ে যা ছিল ১৫০ টাকা।

তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর একটায় শ্যামলী এলাকা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রিকশায় এসেছেন ৫০ টাকা দিয়ে। এরপর রিকশাতে ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান ৮০ টাকা, সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী ৬০ টাকা, তারপর সাইনবোড থেকে ৮০ টাকায় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া। চাষাড়া পর্যন্ত তিনি এসেছেন অটোরিকশায়। সেখান থেকে রিকশায় দুই নম্বর গেট এসেছেন ২০ টাকা এবং আবারও অটোরিকশায় মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত ৮০ টাকায়। মুক্তারপুর সেতু থেকে আরও ৭০ টাকায় নিজ এলাকায়।

দেওয়ান মোহাম্মদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকার শ্যামলী থেকে মুন্সিগঞ্জের নিজ বাসা পর্যন্ত পথ প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। আসার পথে ঢাকার ফার্মগেট, চীন মৈত্রী সম্মেলনের সামনে, গুলিস্তান, সাইনবোর্ড, মুক্তারপুর সেতুর টোল প্লাজায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি ছিল, তাই ঝামেলা কম হয়েছে। সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকার শ্যামলী থেকে মুন্সিগঞ্জ সদরের দুর্গাবাড়ি এসেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

A loud scream, followed by complete silence

The teep was still visible on Labib's head. His innocent life was lost over a trivial matter

2h ago