১০ ফুট পদ্ম পাতা!

বলিভিয়ার কিউ গার্ডেনে দেখা মিলেছে বিশালাকার এক প্রজাতির পদ্ম ফুলের। ভিক্টোরিয়া বলিভিয়ানা নামের এই ফুলের পাতার আকৃতি প্রায় ৩ মিটার বা ১০ ফুট।
প্রায় এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে গবেষণার পর এই নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।
সময়ের বিবর্তনে বড় প্রজাতির পদ্ম বিলুপ্তপ্রায়। কালেভদ্রে সেগুলোর দেখা মিলত বটে, তবে বনাঞ্চল থেকে দুর্লভ প্রজাতির পদ্ম সংগ্রহ করে আনা বেশ কষ্টসাধ্য। তারপরও বিজ্ঞানীদের কয়েক দশকের পরিশ্রমের ফলে নতুন প্রজাতির পদ্মর সন্ধান পাওয়া যায়।
ভিক্টোরিয়া অ্যামাজোনিকা এবং ভিক্টোরিয়া ক্রুজিয়ানা নামের পদ্মর ২টি প্রজাতি উদ্ভাবনের পর আবির্ভাব হয় বলিভিয়ানা প্রজাতির। বলিভিয়ানা পদ্ম ফুল কিছুটা সাদা থেকে গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। এর কাঁটাযুক্ত পেটিওলস বহনকারী ডাঁটা, পাতাকে কান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে।

অন্যদিকে, বলিভিয়ার লা রিনকোনাডা গার্ডেনের লানোস দে মোক্সোস'র প্রাকৃতিক জলজ বাস্তুতন্ত্রে পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পদ্মটির আকৃতি ৩ দশমিক ২ মিটার।
২০১৬ সালে পদ্মটির নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য বলিভিয়ার ২টি প্রতিষ্ঠান সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরা বোটানিক গার্ডেন ও লা রিনকোনাডা গার্ডেন থেকে ধারণারভিত্তিতে তৃতীয় প্রজাতির পদ্মর কতগুলো বীজ সংগ্রহ করা হয়। তারপর কিউ গার্ডেনে নতুন পদ্মর অঙ্কুরোদগম হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা ডিএনএ পরীক্ষা করে এটি স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
কিউ গার্ডেনের বিজ্ঞানী নাতালিয়া প্রেজেলোমস্কা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, 'পৃথিবীজুড়ে জীববৈচিত্র্য যখন হুমকির মুখে তখন কোনো কিছুর নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া বেশ ইতিবাচক। আশা করছি, আমাদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি ফ্রেমওয়ার্ক অন্যান্য বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে।'
প্ল্যান্ট সায়েন্সের ফ্রন্টিয়ার্স-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ক্রুজিয়ানা প্রজাতির সঙ্গে বলিভিয়ানা প্রজাতির বেশ মিল আছে। তবে এক মিলিয়ন বছর আগেই এই ২টি প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। গবেষণার আগে এগুলো অনেক বছর ধরে কিউ ও বলিভিয়ার জাতীয় হার্বেরিয়ামে সংরক্ষিত ছিল। তখন অবশ্য ধারণা করা হয়েছিল, এগুলোর ধরন অন্য ২ প্রজাতির মতোই।
অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া
Comments