ইউক্রেনে হামলার ‘অজুহাত’ তৈরি করতে পারে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

বেলারুশের গ্রোডনো অঞ্চলের গোজস্কিতে রাশিয়া ও বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক মহড়া। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে এবং আক্রমণের জন্য একটি 'অজুহাত' তৈরি করতে পারে। আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়া এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে এবং এসব সেনা আটলান্টিক সামরিক জোটের অংশ নয়। ওয়াশিংটন কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো খোলা রেখেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। ওয়াশিংটন বারবার বলেছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা করছে।

কিন্তু, মস্কো এ ধরনের পরিকল্পনার কথা শুরু থেকে অস্বীকার করে আসছে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে 'হিস্টিরিয়া'র অভিযোগ এনেছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ সোমবার কিয়েভ এবং মঙ্গলবার মস্কো সফরের আগে রাশিয়াকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনে আক্রমণ করলে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জার্মানির এক কর্মকর্তা বলেন, বার্লিন 'সুনির্দিষ্ট ফলাফল' আশা করছে না। কিন্তু, আমরা মনে করি কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, 'এখন যে কোনো দিন' হামলা শুরু হতে পারে। যদিও আমরা পুরোপুরি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া বুধবার আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে- মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এমন কোনো ইঙ্গিত দিয়েছে কিনা মার্কিন কর্মকর্তারা তা তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।

সুলিভান বলেন, ওয়াশিংটন যা জানতে পারছে তা বিশ্বকে জানানো অব্যাহত রাখবে। যেন মস্কো 'মিথ্যা পতাকা' অভিযানের অজুহাতে হামলা না করতে পারে। এটি ন্যাটো ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করবে এবং আমরা মনে করি, এই বার্তাটি রাশিয়া পুরোপুরি বুঝতে পারবে।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- রোববার বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাশিয়ার সামরিক উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় কূটনীতি ও প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন।

জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তিনি বাইডেনকে শিগগির ইউক্রেন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতার সঙ্গে একমত হয়ে ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য ঘোষণা করা সামরিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার একটি প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছে ব্রিটেন। রাশিয়ার সঙ্গে অচলাবস্থা নিরসনে সমর্থন গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ সপ্তাহের শেষের দিকে ইউরোপ সফর করবেন।

শনিবার এক ফোনালাপে বাইডেন পুতিনকে বলেন, পশ্চিমারা যে কোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেবে এবং এ ধরনের হামলা মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসিই রেজনিকভ টুইট করেন, কিয়েভ এখন পর্যন্ত ১৭টি ফ্লাইটে মিত্রদের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ টন গোলাবারুদ পেয়েছে। যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রায় ১৮০ টন গোলাবারুদ আছে।

কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনভিত্তিক সামরিক কর্মীদের সাময়িকভাবে ইউরোপের একটি অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago