এক নজরে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক

ছবি: বিবিসি

২০১৪ সালে গণআন্দোলনের মুখে ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোচের পতন হলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই প্রজাতন্ত্রটির ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার যুক্তি—১৯৫৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে ক্রিমিয়া তৎকালীন রুশ প্রজাতন্ত্রের অংশ ছিল।

এরপর পুতিন নজর দেন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশভাষী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের ওপর। গত ৭ বছর ধরে এই অঞ্চল দুটি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সংঘাত বিরাজ করছে।

মস্কোপস্থি বিদ্রোহীরা ক্রেমলিনের সহায়তায় দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে মুক্ত ঘোষণা করে। এরপর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ক্রমাগত লড়াই চলছে।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।

গতকাল সোমবার সেই দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল দুটিকে একতরফাভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বলেছেন, 'এমন সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।'

তিনি অঞ্চল দুটিকে শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিই দেননি, সেখানে 'শান্তি রক্ষার জন্য' সেনা পাঠানোর ঘোষণাও দেন। পাশাপাশি, 'স্বাধীন দেশ' দুটির সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চুক্তি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক

ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তবর্তী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল ২০১৪ সালের পর থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে কিয়েভবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। খনি ও শিল্প সমৃদ্ধ দোনেৎস্ক ছিল ইউক্রেনের স্টিল উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র।

বন, পাহাড়, তৃণভূমি, নদী, হ্রদ পরিবেষ্টিত দোনেৎস্কের মোট জনসংখ্যা ২০ লাখের মতো। সেখানে রুশভাষী মানুষ প্রায় ৪৮ শতাংশ।

প্রায় ১৫ লাখ জনসংখ্যার লুহানস্কও একটি শিল্প-প্রধান অঞ্চল। এখানে কয়লার বিশাল মজুত রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেখানে রুশভাষী শ্রমিকদের পাঠানো হয়। সেখানে রুশভাষী মানুষ প্রায় ৪৭ শতাংশ।

২০১৪ সালে রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীরা দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলের এক বছর পর সেখানে মিনস্ক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে উভয় পক্ষ ক্রমাগত একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ আনতে শুরু করে। 

চুক্তিতে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অধিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Air freight capacity to increase

The move comes as Bangladesh's garment exporters face a major challenge in handling urgent international shipments after India abruptly closed a widely-used air cargo transhipment route

9h ago