ফ্রান্সের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে মাখোঁর দল

এপ্রিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থি ইমানুয়েল মাখোঁ বিজয়ী হলেও মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে গতকাল রোববার তার দল দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

এপ্রিলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থি ইমানুয়েল মাখোঁ বিজয়ী হলেও মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে গতকাল রোববার তার দল দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।

আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার প্রায় ২ মাস পরেই পার্লামেন্ট নির্বাচনে চরম বাম ও ডানপন্থিদের কাছে হেরেছে মাখোঁর মধ্যপন্থি এনসাম্বল জোট।

মাখোঁর নতুন নিয়োগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নি গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'এমন পরিস্থিতি হবে তা আগে ভাবা যায়নি।'

প্যারিসের ওপর দিয়ে যেন 'ঝড়' বয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা ইকো এই ফলকে 'ভূমিকম্প' বলে আখ্যা দিয়েছে।

এলিসি প্রাসাদে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ গণমাধ্যমকে বলেন, আধুনিক ফ্রান্স এমন পার্লামেন্ট আগে কখনো দেখেনি।

তার মতে, 'এমন পরিস্থিতি ফ্রান্সকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিক থেকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে।'

তারা পার্লামেন্টে অন্য দলগুলো নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন বলেও জানান।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে, গবেষণা সংস্থা ইপসস'র পূর্বাভাসে বলা হয়, ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে মাখোঁর জোট ২৩৪টি আসন পেতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর কাছে হেরে যাওয়া লে পেনের চরম ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি পেতে যাচ্ছে ৯০টি আসন। ধারণা করা হচ্ছিল দলটি ২০ থেকে ৫০টির আসন পাবে।

২০১৭ সালের নির্বাচনে ন্যাশনাল র‌্যালি ৮টি আসন পেয়েছিল।

ছবি: রয়টার্স

চরম বামপন্থি এনইউপিইএস পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভালো ফল করছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দলটি ১৪১টি আসন পেতে যাচ্ছে।

গত কয়েক মাস আগেও ফ্রান্সে বামপন্থিদের খুব একটা জনপ্রিয়তা দেখা যায়নি। নির্বাচনে তারা এতোটা ভালো করবে তা কেউই ধারণা করতে পারেনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মাখোঁ যদি অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট করে না চলেন তাহলে ফ্রান্সকে রাজনৈতিক সংকটে পড়তে হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাখোঁর মধ্যপন্থি জোট দেশটিতে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার কথা বললেও নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারেনি।

বামপন্থি এক সমর্থক গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'প্রেসিডেন্টের দলের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।'

অপর এক সমর্থক বলেন, ভোটের ফল যেন মাখোঁর গালে চপেটাঘাত।

এখন দেখার বিষয়ে পার্লামেন্টে 'মাখোঁবিরোধী জোট' কী ভূমিকা পালন করে।

Comments

The Daily Star  | English
High temperature days record in Bangladesh

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

13h ago