রূপকথার গল্পের মতো তার উত্থান

ভ্লাদিমির পুতিন ও সভেতলানা ক্রিভোনোগিখ। ছবি: সংগৃহীত

তার উত্থান যেন রূপকথার গল্পের মতো। ছিলেন বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। থাকতেন সাদামাটা বাড়িতে। কাজ করেছেন পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে। তারপর তিনি হন বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ও প্রমোদতরীর মালিক।

এ সব ১৯৯০ দশকের কথা। সেসময় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকে পাল্টে যেতে থাকে তার জীবনধারা।

গতকাল রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য।

এতে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক গোপন লেনদেন হয়। স্থান: মোনাকো। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশ সংখ্যক মিলিয়নিয়ারের দেশ।

সেসময় সেখানে এক বিলাসবহুল ক্যাসিনোর নিচতলায় বিশেষ এই অ্যাপার্টমেন্টটির মালিকানা বদল হয়। স্থানীয় নোটারির মাধ্যমে চুক্তিতে অ্যাপার্টমেন্টটির দাম পড়ে সাড়ে ৩ মিলিয়ন ইউরোর বেশি।

তবে বাড়িটি কে কিনেছিলেন তা এক রহস্য হিসেবে থেকে যায় বহুদিন।

আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটি 'ক্রয় করে' ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ব্রুকভিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রথমদিকের মালিক পানামায় নিবন্ধিত সেফটন সিকিউরিটিজ ও পরের মালিক র‌্যাডনর ইনভেস্টমেন্টস এসএ।

সাধারণ মানুষের কাছে এটি আর সব বাড়ি বেচা-কেনার মতোই মনে হতে পারে। কিন্তু, এর স্তরে স্তরে রয়েছে ভিন্ন তথ্য।

প্যান্ডোরা পেপার্সের নথিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের বান্ধবীর ১০০ মিলিয়ন ডলারের 'গোপন সম্পত্তি' তথ্য প্রকাশিত হওয়ার আগেই পানামা পেপার্সের মাধ্যমে দ্য গার্ডিয়ান জানতে পারে সেই বিলাসবহুল বাড়ির মালিক এক নারী।

২০০৩ সালে বাড়িটি যখন কেনা হয় তখন সেই নারীর বয়স ছিল ২৮ বছর। সেসময় তার নাম জানা না গেলেও এখন সারা বিশ্ব জেনেছে তিনি হলেন সভেতলানা ক্রিভোনোগিখ।

ভ্লাদিমির পুতিনের এই বান্ধবীর রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশে সম্পত্তি রয়েছে। এখন তিনি ১০০ মিলিয়ন ডলারের 'গোপন সম্পত্তি'র মালিক।

গতকাল রোববার নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিন যখন সেন্ট পিটার্সবার্গে ডেপুটি মেয়র হিসেবে ছিলেন তখন থেকেই সভেতলানার সঙ্গে তার সম্পর্ক। তাদের এক মেয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago