ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সিরিয়া

ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়া। এর আগে কিয়েভও দামাসকাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।
সিরিয়ার প্ররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল মেকদাদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সিরিয়ার প্ররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল মেকদাদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়া। এর আগে কিয়েভও দামাসকাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রাশিয়ার অন্যতম প্রধান মিত্র দেশ হিসেবে সিরিয়ার পরিচিতি রয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ বাহিনী প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের ক্ষমতাকে সুসংহত করতে সহায়তা করেছিল।

জুনের শেষের দিকে দামাসকাস জানায়, তারা ইউক্রেনের রুশ সমর্থিত অঞ্চল লুহানস্ক ও দনেৎস্ককে 'স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের' প্রতি সমর্থন জানাবে। সিরিয়াই প্রথম দেশ হিসেবে এই স্বীকৃতি দেয়। ফলে ইউক্রেন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে সিরিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কে ২০১৮ সাল থেকেই টানাপোড়েন চলছে। সে বছর কিয়েভ কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার কূটনীতিকদের সে দেশের অবস্থান করার অনুমতিপত্র নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে দূতাবাসের কর্মীদের জন্য কিয়েভে থেকে কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, 'ইউক্রেনীয় সরকারের অসহযোগিতামূলক আচরণের ফলে সিরিয়ার দূতাবাসের সব কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়।'

বুধবারের ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সাল মেকদাদ ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তেহরানে বৈঠক করছেন। একদিন আগেই রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের নেতারা তেহরানে এক সম্মেলনে যোগ দেন।

ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর দ্বিতীয় বিদেশ সফরে রাশিয়ার নেতা পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে সিরিয়ার চলমান সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন। 

ফেব্রুয়ারিতে সরাসরি কিয়েভ দখলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে রাশিয়া ঘোষণা দেয়, ইউক্রেনের দনবাস রাজ্য দখলই তাদের মূল উদ্দেশ্য। ২০১৪ সাল থেকে দনবাস অঞ্চলে রুশ সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলেই রাশিয়া তাদের বেশিরভাগ আক্রমণ চালিয়েছে।

 

Comments