বাদশাহ আবদুল্লাহকে হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে

Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে। `বিষাক্ত আংটি' ব্যবহার করে বাদশাহকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি।

সৌদির সাবেক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি এ অভিযোগ তুলেছেন বলে আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাসিত ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ সালের এক বৈঠকে মোহাম্মদ বিন সালমান তার চাচাতো ভাই  মোহাম্মদ বিন নায়েফকে (তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বাদশাহ আবদুল্লাহকে হত্যার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। বাবার জন্য সিংহাসন খালি করতে চান বলে নায়েফকে জানান তিনি।

উত্তরাধিকার নিয়ে তখন সৌদি শাসক পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

মোহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজ বলেন, `আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চাই। রাশিয়া থেকে একটি বিষাক্ত আংটি পেয়েছি। তার সঙ্গে শুধু করমর্দন করাই যথেষ্ট। তিনি শেষ হয়ে যাবেন।'

`তিনি বড়াই করেও এটি বলতে পারেন। তবে তিনি এটি বলেছেন এবং আমরা এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলাম', উল্লেখ করেন জাবরি।

তিনি জানান, বৈঠকটি রাজদরবারে গোপনীয়তার সঙ্গে হয়েছে। তবে গোপনে বৈঠকটি ভিডিও করা হয় এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ২টি কপি কোথায় আছে তিনি জানেন।  

জাবরি আরও বলেন, সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে `মধ্যপ্রাচ্যে অসীম সম্পদের অধিকারী এক সাইকোপ্যাথ ও হত্যাকারী, যিনি নিজের জনগণ, আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের জন্য হুমকি।'

২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ ৯০ বছর বয়সে মারা যান। তার সৎ ভাই এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ তার স্থলাভিষিক্ত হন।

এ অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিবিসি।

সিবিএসকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাস জাবরিকে `একজন অসম্মানিত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা' হিসেবে উল্লেখ করেছে।

গত বছর জাবরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করে মোহাম্মদ বিন সালমানের ‍বিরুদ্ধে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন। তবে যুবরাজ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rubber imports rose 33% last fiscal year

Bangladesh’s rubber imports surged by 33 percent year-on-year in the fiscal year 2024-25 (FY25), as local industries faced shortages due to supply disruptions from domestic producers.

13h ago