পাখিরা

কোনো এক 'নির্ঘুম' বসন্তের রাতে নিসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশ তার 'পাখিরা' কবিতায় লিখেছিলেন, 'আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর।/তারপর চ'লে যায় কোথায় আকাশে?/তাদের ডানার ঘ্রাণ চারিদিকে ভাসে।'
প্রতিবছর শীতকালে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক জলাশয়সহ বড় বড় বাঁশঝাড়ে পরিযায়ী পাখির বিচরণ দেখা যায়। শীতকাল এলেই শীতপ্রধান দেশের পাখিরা দেশ ভ্রমণে বের হয় বেঁচে থাকার জন্য।

মূলত সাইবেরিয়া ও হিমালয় অঞ্চলের পাখিরাই এই দেশে আসে। প্রকৃতিতে শীত এলে ওই সব দেশের স্থলভাগ ও জলাশয়গুলো বরফে ঢেকে যাওয়ায় সেখানকার জলচর পাখিরা প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। শীতপ্রধান দেশের পাখিরা তখন মাইগ্রেট করা শুরু করে। পাড়ি জমায় এমন দেশে, যেখানে হাওর-বাঁওড় ও নদী-নালার অভাব নেই, খাবারের সমস্যা নেই। শীত কেটে গেলে এরা আবার নিজ নিজ দেশে পাড়ি জমায়।
জীবনানন্দ হয়তো এই পাখিদের নিয়েই লিখেছেন, 'কোথাও জীবন আছে—জীবনের স্বাদ রহিয়াছে,/কোথাও নদীর জল র'য়ে গেছে–সাগরের তিতা ফেনা নয়,/খেলার বলের মতো তাদের হৃদয়/এই জানিয়াছে;/কোথাও রয়েছে প'ড়ে শীত পিছে, আশ্বাসের কাছে/তা'রা আসিয়াছে।'

চলতি মৌসুমে শীত শেষ হতে চললেও এখনো অনেক পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুমারখালী নদীতে। সম্প্রতি সেখান থেকে ছবিগুলো তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী টিটু দাস।
Comments