সংস্কৃতির ব্যাপারটা কতটা জরুরি
আমাদের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখব, আমরা দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছি। এই সংগ্রামে সমাজতন্ত্রীরা ছিলেন, জাতীয়তাবাদীরা ছিলেন। পার্থক্য হচ্ছে, জাতীয়তাবাদীরা ছিলেন পুঁজিবাদী এবং সমাজতন্ত্রীরা ছিলেন সামাজিক মালিকানায় বিশ্বাসী। নানান ঐতিহাসিক কারণে সমাজতন্ত্রীরা জয়ী হতে পারেননি। জাতীয়তাবাদীরা, পুঁজিবাদীরা জয়ী হয়েছেন। পুঁজিবাদীরা জয়ী হলে কি পরিণতি হয় তা আজকে ৪টি গানের মধ্যে আমাদের এই শিল্পী বন্ধু উন্মোচিত করে দিয়েছেন। এটিই হচ্ছে পরিণতি। আমরা পুঁজিবাদের মধ্যে এই চরিত্রটা দেখব রবার্ট লুই স্টিভেনশনের একটি গল্পে। গল্পটা হয়ত আপনারা অনেকেই জানেন। নাম ড. জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড। ড. জেকিল খুব বড় মাপের একজন চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সন্ন্যাসীর মতো মানুষ। তার কোনো শত্রু নেই, সারাক্ষণ গবেষণা করেন। মানুষের উপকারে গবেষণা করেন। কিন্তু তার ভেতরে আর একটা মানুষ আছে, সেই মানুষটা মি. হাইড।
এই লুকিয়ে থাকা মানুষটা ভয়ঙ্কর। সে দেখতে কুৎসিত, তার আচরণ নিষ্ঠুর। তার ভেতর ন্যায়-অন্যায়ের কোনো বোধ নেই। ড. জেকিল একটা ওষুধ আবিষ্কার করেন, যা খেলে তিনি মি. হাইড হয়ে যান। আবার মি. হাইড থাকা অবস্থায় খেয়ে ড. জেকিলে রূপান্তরিত হতে পারেন। একবার সেটা খেয়ে মি. হাইড রূপে রাস্তায় বের হয়েছেন, ধাক্কা লেগেছে এক কিশোরীর সঙ্গে। তাকে পদদলিত করেছেন, হৈ চৈ হয়েছে, টাকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। ড. জেকিল এরপর সতর্ক হয়ে গেছেন। কিন্তু এক দুর্বল মুহূর্তে আবার ওষুধ খেয়ে বাইরে গিয়ে ড. জেকিলের ওপর অনেক হম্বিতম্বি করলেন; কেন তাকে এতদিন আটকে রাখা হয়েছিল, সেটা জিজ্ঞাসা করলেন। ক্রোধান্বিত অবস্থায় বের হয়ে মি. হাইড রাস্তায় এক বৃদ্ধ ভদ্রলোককে পেয়ে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরেই ফেললেন। ভদ্রলোক ছিলেন পার্লামেন্টের সদস্য। হট্টগোল হলো। হাইড পালিয়ে গেলেন এবং ওষুধ খেয়ে ড. জেকিলের রূপ নিয়ে রক্ষা পেলেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন, তার ওষুধ দুর্বল হয়ে আসছে এবং মি. হাইড নিয়ন্ত্রণে থাকতে চাচ্ছেন না। তার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিল, মি. হাইড পরিচয় ধরা পড়ে যাওয়ার। তখন তিনি নিজেকে ঘরে আটকে রাখলেন এবং মারা গেলেন। অর্থাৎ আত্মহত্যা করলেন।
ড. জেকিলের আবিষ্কার দক্ষতা পুঁজিবাদী উন্নতির প্রতীক। উন্নতি অসাধারণ, কিন্তু সে আবার বিপজ্জনকও। সে মি. হাইডকে অবমুক্ত করে। মি. হাইড অশুভ, ধ্বংসে উন্মুখ ও স্বেচ্ছাচারী। ড. জেকিলের তবু লজ্জা-শরম ছিল, নিজের দুষ্কর্ম দেখে লজ্জা পেয়েছেন এবং নিজের ভেতরের কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না জেনে আত্মহত্যা করেছেন। পুঁজিবাদের চিন্তায় কিন্তু ওসবের বালাই নেই। পুঁজিবাদ যেমন নৃশংস, তেমন বেপরোয়া। নিজের লাভ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না।
পুঁজিবাদী বিশ্বের অভূতপূর্ব কারিগরি উন্নতি ঘটেছে। সেটা দেখে অনেকে বলেন এবং ভয় পান যে, এমন দিন হয়তো আসবে যখন মানুষের আর প্রয়োজন হবে না। রোবট সব করবে, যন্ত্রই চালক হবে। এককালে ডাইনোসর ছিল। কত বড় প্রাণী, অথচ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন মানুষ এসেছে। সৃজনশীল, উদ্ভাবনশীল, বিবেকবান মানুষ। কিন্তু এই মানুষও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছে মানুষ একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তখন এই রোবটগুলো বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। এগুলো সেই কাজ করবে যা মানুষ করছে। আমরা দেখছি ব্যক্তি মালিকানায় প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, বেকারত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে, শ্রমের মূল্য কমানো হচ্ছে, শ্রমিক ও শ্রমকে অপ্রয়োজনীয় করে তোলার চেষ্টা চলছে। এর কারণ পুঁজিবাদী মূল্যবোধ। পুঁজিবাদ শ্রম, প্রকৃতি, মনুষ্যত্বের ওপর নির্যাতন করছে। সেই জন্যই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে যে, হয়তো আমাদের সভ্যতা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং যন্ত্রের শাসন চালু হবে। ভরসা এই যে, বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সেটা হতে দেবে না, রুখে দেবে। যন্ত্র থাকবে, কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণটা হবে সামাজিক। যন্ত্র কাজ করবে মানুষের উপকার করার জন্য, মানুষকে শাসন করার জন্য না। এর জন্য পুঁজিবাদকে হটিয়ে সামাজিক মালিকানার প্রতিষ্ঠা চাই।
পুঁজিবাদ সবকিছুকে পণ্যে পরিণত করে। বাংলাদেশে আমরা সেই ব্যাপারটা দেখছি। চিকিৎসা ও শিক্ষা পণ্যে পরিণত হয়েছে, ভাড়ায় খুনি পাওয়া যাচ্ছে, বাঁচার তাগিদে মানুষ শ্রমশক্তি বিক্রি করতে হাটে-বাজারে উপস্থিত হচ্ছে। ক্রেতা পায় তো দাম পায় না, অনেক সময়ে ক্রেতাও পায় না।
আমাদের ইতিহাসে আমরা বুদ্ধিজীবীদের দেখেছি, তাদের ভূমিকা দেখেছি। তারা মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে খুব শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা দুজন মানুষ রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরকে নেওয়া যাক। রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রামমোহন ইংরেজদের ভারতে এসে বসবাস করার পক্ষে ছিলেন, তাদেরকে আহ্বান করেছেন। বলেছেন, ইংরেজরা কেন এখানে এসে বসবাস করছে না? ভারতবর্ষকে প্রত্যক্ষ কলোনিতে পরিণত করছে না? প্রত্যক্ষ কলোনিতে পরিণত করলে সাহেবরা এখানে এসে বসবাস করবে, তাদের সঙ্গে মিলে-মিশে আচার-আচরণে বুদ্ধিবৃত্তির চর্চায় স্থানীয়রা অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ও বিত্তবানরা অনেক উৎকর্ষ অর্জন করবেন। রামমোহন আধুনিক মানুষ। তাকে আমরা আধুনিকতার পথিকৃৎ বলি, অভিভাবক বলি। কিন্তু তার চিন্তা উপনিবেশিক। তিনি যখন বাংলা গদ্যের উদ্ভাবন করলেন তাতে ঘটলো সংস্কৃতবাহুল্য। সাধারণ মানুষ তা বুঝবে না এবং এই গদ্য দিয়ে তিনি ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করলেন। এর তুলনা চলে মার্টিন লুথারের সঙ্গে। মার্টিন লুথার বাইবেল অনুবাদ করেন কৃষকের ভাষায়। সেই অনুবাদের জন্য তিনি একটা ভাষা তৈরি করে নিলেন কৃষকের মুখের ভাষা থেকে। ফলে বাইবেল সবার বোধগম্য হলো, মানুষের চিন্তা জগতে বিপ্লব এলো। রেনেসাঁসের প্রধান ভিত্তি চিন্তার ক্ষেত্রে বিপ্লব, সেটার একটি ভিত্তি এভাবে তৈরি হলো। রামমোহনের অনুবাদ তেমন কিছু করতে পারলো না। লুথারের সঙ্গে রামমোহনের পার্থক্যের মূল কারণ লুথার ছিলেন জনমানুষের সঙ্গে, আর রামমোহন ছিল বিত্তবানদের সঙ্গে।
রামমোহনের পরে বিদ্যাসাগর এসেছেন। বিদ্যাসাগর ব্রিটিশ শাসনকে মেনে নিয়েছেন, ব্রিটিশের অধীনে কাজ করছেন। কিন্তু বিদ্যাসাগর খুব বড় যে কাজটা করেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তা এই অর্থে যে, তিনি মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা চান, ইংরেজি মাধ্যমে নয়। যারা শিক্ষার উন্নয়ন চান তাদের দায়িত্ব হবে এমন একটা সাহিত্য তৈরি করা যা বাংলা ভাষাকে করবে সমৃদ্ধ। বিদ্যাসাগর নিজেও সে কাজ করেছেন। বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের মুক্তি ঘটালেন এই প্রয়োজনেই যে, তিনি এর সঙ্গে সাধারণ শিক্ষাকে যুক্ত করেছেন। বিদ্যাসাগরের সেই সাহস ছিল। তিনি সরকারি বড় চাকরি করতেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। অনেক বেতন পেতেন, আরও উন্নতি করতে পারতেন, চাকরিতে প্রমোশনও হতো। কিন্তু তিনি ওই চাকরি ছেড়ে দেন। তখন কথা উঠেছিল, চাকরি ছেড়ে বিদ্যাসাগর খাবেন কি? বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, আলু-পটল বেঁচে খাবে। সরকারি চাকরি ছেড়ে এই যে আলু-পটল বেঁচে খাওয়ার সংকল্প এটা হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া, বুর্জোয়া বিকাশের পথে এগিয়ে যাওয়া। এরপরে তিনি বই লিখলেন। সেগুলো ছাপতে ছাপাখানা ও বিক্রির জন্য দোকান খুললেন। কিন্তু বিদ্যাসাগরকে এক জায়গায় গিয়ে থামতে হয়েছে। তিনি এটা দেখতে পাননি, দেখার অবকাশ ছিল না।
মার্কস এবং বিদ্যাসাগর সমসাময়িক ছিলেন। কিন্তু মার্কস যে চিন্তা করছিলেন সে চিন্তা তো বিদ্যাসাগরের পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। বিদ্যাসাগর তো উপনিবেশের মানুষ, দরিদ্র মানুষ, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং অবিকশিত একটা সংস্কৃতির মানুষ। কাজেই মার্কসের যে চিন্তা, সমাজ বিপ্লবের যে চিন্তা বিদ্যাসাগরের সেই চিন্তা ছিল না। সে জন্য তিনি শিক্ষার মধ্য দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। তিনি কিন্তু কোনো ধর্মগ্রন্থ অনুবাদ করেননি। তিনি অনুবাদ করেন শেক্সপিয়রের নাটক, হিন্দি কাহিনী, সংস্কৃত শকুন্তলা। এইগুলো করলেও তিনি ধর্মের কাছে যাননি। বলা হয় বিদ্যাসাগর নাস্তিক ছিলেন। নাস্তিক-আস্তিকের বিষয়টা বড় নয়, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন সেটাই বড় কথা। ধর্মকে একেবারেই গুরুত্ব দিতেন না। কিন্তু তবু পথ তো খুঁজে পেলেন না। শেষ জীবনে বিদ্যাসাগর কি কি করলেন, কি করতে বাধ্য হলেন? মধ্যবিত্ত পরিমণ্ডল, যা তাকে অপমান করেছিল নানান ভাবে, যেখানে তিনি বিদ্বেষ দেখেছেন, তাকে পরিত্যাগ করে সাঁওতালদের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করলেন। এটা কিন্তু বিপ্লবের পথ নয়, পরিত্যাগের পথ।
আমরা পরবর্তীতে দেখব কাজী নজরুল ইসলামকে। তিনি অসাধারণ কবি। এই রুশ বিপ্লবের অনুপ্রেরণাকে ও মূল্যবোধকে তিনি নিজের মধ্যে গ্রহণ করলেন, সেটাও আশ্চর্য এক ঘটনা। তার সেই গ্রহণ ক্ষমতা ছিল যেটা শ্রেষ্ঠ মেধার প্রতীক, যেটা উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ছিল। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, কিন্তু গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে। শেক্সপিয়র ও নজরুলের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ একটা মিল আছে। তা হলো, দুজনই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতেন। গ্রহণ করার ক্ষমতার জন্যই নজরুল বিপ্লবী হয়েছিলেন। তিনি বিদ্রোহ দিয়ে শুরু করেছিলেন। অল্পসময়ের মধ্যেই বিপ্লবের পথে চলে গেছেন, সাম্যবাদের কথা বলেছেন, নারী-পুরুষের ভেদাভেদ নেই বলেছেন, চাষি-মজুরের কথা বলেছেন। কলকাতার রেল স্টেশনে কুলির অপমান দেখে তিনি বিশ্ব মানবতার অপমানের কথা ভাবছেন এবং বলেছেন, এটা শেষ হবে, অবশ্যই শেষ হবে। ১৯১৭ সেই যে বিপ্লব তার প্রতিধ্বনি আমরা নজরুল ইসলামের মধ্য শুনি। কবিতার নাম, বইয়ের নাম দিচ্ছেন সাম্যবাদী ও সর্বহারা। বিপ্লবী কবিতা লিখেছেন। চাষির গান, শ্রমিকের গান, জেলের গান, ছাত্রদলের গান লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন বারাঙ্গনাদের পক্ষে এবং বিপ্লবের পক্ষে কাজ করেছেন।
কিন্তু নজরুল ইসলামকেও থেমে যেতে হয়েছে। কেন থেমে যেতে হলো? বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কেবল নৈতিক নয়, প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। তিনি পরিবর্তিত হয়েছিলেন বলশেভিক মতবাদের দ্বারা। তার প্রথম পত্রিকা ধূমকেতু, যা বিপ্লব করবে। কিন্তু পরিষ্কার ছিল না কোন ধরনের বিপ্লব। পরবর্তী পত্রিকা বের করেছেন লাঙ্গল নামে এবং কলকাতার পত্রিকা অফিসের সাইনবোর্ডে একটা লাঙ্গল টানিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে তিনি চলে যাচ্ছেন গণবাণীতে। এই অগ্রসরের সমান্তরালে আন্দোলন চলছিল, বিপ্লবের আন্দোলন, শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলন, কৃষকের আন্দোলন, সেটা তেমন এগোয়নি। দারিদ্র্য ছিল, পারিবারিক শোক ছিল, পুত্র শোক ছিল, নিজে অসুস্থ ছিলেন, সেজন্য একসময় তিনি স্তব্ধ হয়ে গেলেন। এই পরিণতিগুলো আমরা দেখি।
আমরা দেখি বেগম রোকেয়াকে। তিনি নারীমুক্তির প্রশ্নটাকে নিয়ে এসেছেন এবং মূল কথাটা বলেছেন এইখানে যে, ধর্মগ্রন্থগুলো দেখে মনে হয় এসব যেন কোনো পুরুষের লেখা, পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা। এই কথা প্রায় ১০০ বছর আগে একজন নারী এই দেশে বসে বলেছিলেন, চিন্তা করেছিলেন। সেটা মনে করিয়ে দেয়, তিনি কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি তো পর্দার আড়ালে থাকতেন, তিনি তো একাকী ছিলেন। তিনি নজরুল ইসলামের ধূমকেতু পত্রিকায় লিখতেন। কিন্তু চিন্তার রোকেয়া নির্দেশিত ওই ধারাটি আর এগোয়নি। বলতে গেলে, সামন্তবাদীরা এগোতে দেয়নি, পুঁজিবাদীরা রুদ্ধ করে দিয়েছে।
(চলবে)
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Comments