লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: মেয়রপ্রার্থী সাক্কু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।

কুসিকের সদ্যসাবেক এই মেয়র বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহার ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন। এমনকি নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে তাকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিলেও তিনি তা মানছেন না।

'এমপি যখন ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, তখন প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন কমিশন কেন এই নোটিশ দিলো?', যোগ করেন তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর এটিই প্রথম বড় নির্বাচন। ফলে এটি কমিশনের জন্য এক ধরনের পরীক্ষা ছিল এবং তারা সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি মনে করি, চিঠি পাঠানোটা নির্বাচন কমিশনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। চিঠি পাঠানোর পরও যা হলো, সেটা এক ধরনের বড় অপমান।

কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।

সাক্কু বলেন, সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘিরেই আছে ইউনিয়ন পরিষদ। আর সেসব ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী।

'ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহিরাগতদের এনে ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, ভোটকেন্দ্রগুলো যেন বহিরাগতদের হাত থেকে মুক্ত থাকে। মানুষ যদি ভয় পায়, তাহলে তারা ভোট দিতে আসবে ন', বলেন তিনি।

'সাক্কু এমপি বাহারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আওয়ামী লীগেরই সাজানো প্রার্থী', এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হই, তাহলে ক্ষমতাসীন দল কেন আরেকজনকে প্রার্থী করেছে? স্থানীয় এমপিও কেন তার সঙ্গে কাজ করছেন? অতএব এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।'

'যখন নির্বাচন হয়, তখন জনগণ বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক কিছু বলে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভোটাররা', বলেন তিনি।

সাক্কুর বিরুদ্ধে রিফাতের আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকি, তাহলে গত ১০ বছরে তিনি কেন তথ্য সংগ্রহ করেননি? কেন তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন না? কেউ যদি আমার দুর্নীতির কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে, তাহলে আমি এখনই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব।'

মানুষ কেন আপনাকে ভোট দেবে, জানতে চাইলে কুসিকের ২ বারের মেয়র সাক্কু বলেন, 'আমি যখন শহরের প্রথম মেয়র হয়েছিলাম, তখন আমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল। গত ১০ বছরে আমি মৌলিক কাজ শেষ করেছি। তবে এবার আমি অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। মানুষ অবশ্যই আমার কাজের মূল্যায়ন করবে এবং আমাকে ভোট দেবে।'

কুসিক নির্বাচনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যারা দলীয় পদে আছেন, তারা সুস্পষ্ট কারণে আমার প্রচারণায় আসেন না। কিন্তু, তারা আমাকে সমর্থন করেন। বিএনপির সহানুভূতিশীলরা আমার সঙ্গে আছেন। বিএনপির সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ।'

যদি নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হয়, তবে, ফলাফল যাই হোক না কেন, আমি মেনে নেব এবং নতুন মেয়রকে যথাযথ সহযোগিতা করব', যোগ করেন মনিরুল হক সাক্কু।

Comments

The Daily Star  | English

Student politics, Buet and ‘Smart Bangladesh’

General students of Buet have been vehemently opposing the reintroduction of student politics on their campus, the reasons for which are powerful, painful, and obvious.

2h ago