‘অক্সিজেটের সফলতা বাংলাদেশে গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করবে’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত জীবনরক্ষাকারী ‘অক্সিজেট’ সিপ্যাপ যন্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেটের ট্রায়াল। ছবি: ড. তাওফিক হাসান

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত জীবনরক্ষাকারী 'অক্সিজেট' সিপ্যাপ যন্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট সিপ্যাপ যন্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করতে পারবে বুয়েট।

এর আগে বুয়েট উদ্ভাবিত অক্সিজেট যন্ত্রটি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন না পাওয়ায় বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনীক আর হক আদালতের নজরে আনলে তা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দেন হাইকোর্ট।

অক্সিজেটের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে থাকা বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'হাইকোর্টের পরামর্শের পর আমার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন করি। পরবর্তীতে ঔষুধ প্রশাসন থেকে তিন জন বিশেষজ্ঞ সিপ্যাপটি কোথায় উৎপাদন করা হবে তা পরিদর্শনে আসেন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে করে আরও পাঁচ জনের ওপর ট্রায়াল করার কথা বলেন। ট্রায়াল শেষে সব তথ্য জমা দিলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় অক্সিজেটের অনুমোদন বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আপাতত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শর্ত অনুযায়ী যেসব হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট আছে সেখানেই অক্সিজেট সিপ্যাপটি ব্যবহার করতে পারব। আমাদের ২০০ ইউনিটের সফলতার ওপর নির্ভর করবে অক্সিজেটের ভবিষ্যৎ। তবে আশা করছি আমরা সফল হবো।'

অক্সিজেট সিপ্যাপ যন্ত্রটি কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই সাধারণ ওয়ার্ডে মিনিটে ৬০ থেকে ৬৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে। একটি সম্পূর্ণ অক্সিজেট ব্যবস্থা স্থাপন করতে খরচ হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সর্বনিম্ন খরচ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।

ড. তওফিক হাসান বলেন, 'একটা সমস্যা হবে, সবাই অক্সিজেটের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নয়। আমরা সেই জায়গায় কাজ করছি। তাছাড়া অনেক ডাক্তার এখনও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বিকল্প হিসেবে যে অক্সিজেট ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। আমরা সে জায়গাতেও কাজ করছি।'

'অক্সিজেটের সফলতা বাংলাদেশে গবেষক ও উদ্ভাবকদের উদ্বুদ্ধ করবে, তারা মেডিকেল ডিভাইস তৈরিতে এগিয়ে আসবেন। আমি আশা করি বাংলাদেশের অন্যান্য উদ্ভাবকরাও বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী আবিষ্কারগুলো সামনে নিয়ে আসবেন এবং জাতির এই সঙ্কটকালীন সময়ে জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন,' তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sea-level rise in Bangladesh: Faster than global average

Bangladesh is experiencing a faster sea-level rise than the global average of 3.42mm a year, which will impact food production and livelihoods even more than previously thought, government studies have found.

8h ago