আজও সাভারে টিকাকেন্দ্রে মানুষের ঢল

করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা বন্ধের সময় সীমা নির্ধারণের পর আজও ঢাকার সাভারে টিকা কেন্দ্রে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। ধাক্কাধাক্কির কারণে টিকা নিতে আসা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত রোববার টিকাকেন্দ্রে একই চিত্র ছিল টিকা প্রত্যাশীদের।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সাভারের হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে টিকা নিতে মানুষের ভিড় জমলে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে হঠাৎ অপেক্ষমানদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশৃঙ্খলা রোধে হ্যান্ডমাইকে সবাইকে শান্ত থাকতে বলছেন। তারপরও উপস্থিত জনতা ভিড় ঠেলে টিকা কেন্দ্রের ভিতরে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। ভিড়ের মধ্যে পড়ে ও হাতাহাতির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীসহ টিকা নিতে আসা বেশ কয়েকজন আহত হন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাজার হাজার মানুষ এসেছে। আজকে হুড়োহুড়িতে আমাদের এখানে ৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে আছেন। সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে থাকতে বলা হয়েছে। এখানে যারা এসেছে সবাইকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন রয়েছে। আমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও বলেছেন, ভ্যাকসিন যত লাগে দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত কর্মীরাও রয়েছেন। এখন যদি শৃঙ্খলাটা ঠিক রাখা যায় আমরা বিশ্বাস করি সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারবো।'
ভ্যাকসিনের কেন্দ্র বাড়ানো যায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে জায়গা বাড়িয়েছি। আমিনবাজার, ইপিজেডসহ কিছু কারখানা ও অন্যান্য জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আমরা সবাইকে এই বিষয়ে অবগত করেছি। তারা যদি ধৈর্য ধরে আসে এটা কোনো বিষয় না। কিছু মানুষ বিশৃঙ্খলা না করলে এমন হতো না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সেজন্য কাজ করছে।
এদিকে অন্যান্য দিন কেন্দ্রটিতে সাধারণত ৪/৫ হাজার লোককে টিকা দেওয়া হলেও টিকা প্রত্যাশীদের উপস্থিতি হঠাৎ বাড়ার কারণে গত রোববার ১২ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়। ওই দিন অনেক টিকা প্রত্যাশীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছিল।
১ম ডোজ টিকা আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ করা হবে এমন ধারণা থেকে টিকা কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
Comments