আজ মৃত্যু ২২৫, শনাক্ত ১১৫৭৮
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে, গত ১১ জুলাই এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জন মারা গিয়েছিল। গতকাল করোনায় ২০৪ জন, গত পরশু ১৮৭ জন ও তার আগের দিন ২২৬ জন মারা যান।
এ পর্যন্ত দেশে ১৭ হাজার ৮৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ তিন হাজার ৯৮৯ জন। গত ১২ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
আজ রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৩৯ হাজার ৮০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১১ হাজার ৫৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূন্য নয় শতাংশ।
আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৫ জনের মধ্যে ১২৩ জন পুরুষ ও ১০২ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১০ বছরের মধ্যে, তিন জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, সাত জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ৩১ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৫২ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৩৫ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে, দুই জনের বয়স ৯১-১০০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০০ বছরের বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগে এ সময়ে সবচেয়ে কম নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ চার হাজার ৮৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ৮৬৩ জন, রাজশাহী বিভাগে এক হাজার ৪১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৯৪ জন, রংপুর বিভাগে ৮২১ জন, সিলেট বিভাগে ৬৮১ জন, বরিশাল বিভাগে ৬০০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
একই সময়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৮৪৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৩২ হাজার আট জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।
Comments